দুর্ভোগ: জাতীয় সড়কে ধস। রবিবার কিছুক্ষণের জন্য বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে শিলিগুড়ি থেকে সিকিম ও কালিম্পংয়ের যোগাযোগ। নিজস্ব চিত্র।
টানা বৃষ্টিতে ধস নেমে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকাল পাহাড়ের ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। রবিবার সকাল ৭টা নাগাদ ওই রাস্তার ২৯ মাইলে বড় ধস নামে। এর জেরে শিলিগুড়ি থেকে ওই রাস্তায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সিকিম ও কালিম্পং। ভোর থেকে পুরো বন্ধ হয়ে যায় গাড়ি চলাচল। কাদামাটি, পাথরের সঙ্গে সঙ্গে জলও পাহাড়ের উপর থেকে নেমে আসতে থাকে। ধস সারাইয়ের কাজে নামে পূর্ত দফতর ও প্রশাসন।
বেলা ১১টার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। প্রথমে একমুখী, পরে ধীরে ধীরে দু’দিকেই গাড়ি চলাচল শুরু হয়। তবে কমবেশি বৃষ্টি চলতে থাকায় রাস্তার অবস্থা ভাল নয়। এরই মধ্যে ওই রাস্তায় একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিস্তায় পড়ে যাওয়ায় বারাণসীর বাসিন্দা এক যুবক নিখোঁজ হয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। চালক-সহ দু’জন জখম। বিধ্বস্ত ২৯ মাইল এবং গেলিখোলার মাঝে ঘটনাটি ঘটে। কালিম্পং জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘আপাতত রাস্তাটি খুলেছে। চালকদের সাবধানে যাতায়াতের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’’
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত কয়েকদিন ধরে সমতলে বৃষ্টি কমলেও পাহাড়ের বিভিন্ন প্রান্তেই বৃষ্টি হচ্ছে। তিস্তায় কিছু জায়গায় জলও বেড়ে গিয়েছে। এমনিতেই ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গা ধসপ্রবণ। ২৯ মাইল এলাকায় প্রতি বছরই বর্ষায় ধস নামে। সেখানে রাস্তার ধারে ধস আটকাতে কংক্রিটের দেওয়াল তৈরির কাজও করা হয়েছে। সেগুলির উপর দিয়েই জলের তোড়ে মাটি, পাথর নেমে এসে এ দিন প্রায় ১০০ মিটারের উপর রাস্তা বন্ধ করে দেয়। রাস্তা সাফাইয়ের দল সময় মতো পৌঁছে গেলেও বৃষ্টির জন্য কাজে বিঘ্ন ঘটে।
ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই দুর্ঘটনার ঘটনার বিষয়টি সামনে আসে। ধসের এলাকা থেকে কিছুটা দূরেই ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ছোট গাড়িটি পিকআপ ভ্যান ছিল। গ্যাংটক থেকে শিলিগুড়ি ফিরছিল। গাড়িটি সিকিম থেকে প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার ভাইচুং ভুটিয়ার কিছু জিনিসপত্র নিয়ে নামছিল। চালক বিজয় রায় গাড়িতে বারাণসীর বাসিন্দা দু’জন ছাত্র ইশব যাদব এবং আশুতোষ যাদবকে শিলিগুড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য সঙ্গে নেন। চালক নিয়ন্ত্রণ হারানোয় গাড়িটি তিস্তায় পড়ে যায়। চালক বিজয় এবং আশুতোষ কোনওক্রমে বেঁচে যান। ইশব নদীতে তলিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। চালককে রম্ভি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। দুই ছাত্রই মণিপাল ইনস্টিটিউটের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। তাঁরা বাড়ি ফেরার জন্য গাড়িটি ধরে সমতলে নামছিল। তিস্তা এবং রিয়াং ফাঁড়ির পুলিশ নদীতে তিস্তা-রঙ্গিত রেসকিউ দলকে নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে গাড়িটিকে তুলে আনতে পারলেও ইশবের খোঁজ মেলেনি।
তদন্তকারীদের অনুমান, বর্যার কাদা, পিছল রাস্তায় চালক জোরে চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। চালকের দাবি, তাঁকে পিছন থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা মেরেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy