প্রতীকী ছবি।
ছেলেধরা গুজবের আতঙ্কে দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে হু হু করে কমছে পড়ুয়াদের উপস্থিতি। এ নিয়ে সমাজমাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। গ্রামগঞ্জে গণপিটুনির শিকার হচ্ছেন ভবঘুরে ও মানসিক ভাবে অসুস্থ মানুষজন। উদ্বেগে স্কুলের শিক্ষক থেকে জেলা শিক্ষা দফতর এবং পুলিশ প্রশাসন। এই অপপ্রচার দমনে পুলিশের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে।
শুক্রবার জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, ‘‘সমাজমাধ্যমে ছেলে ধরা অপপ্রচারের অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতিটি থানার পক্ষ থেকে সচেতনতার প্রচার শুরু হয়েছে।’’
গত কয়েক দিন থেকে এ জেলার কুমারগঞ্জ, তপন, পতিরাম, গঙ্গারামপুর ও বংশীহারি থানা এলাকায় ভবঘুরে ও অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে ছেলেধরা সন্দেহে গ্রামের একাংশ বাসিন্দা মারধোর করে বলে অভিযোগ। লোকমুখে রটে যায় গ্রামে গ্রামে ঘুরছে ছেলেধরা। সমাজমাধ্যমে ছবি দিয়ে বিশেষ কিছু অপপ্রচারের জেরে একাধিক গ্রামে দাবানলের মত তা ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ।
আতঙ্কে একাংশ অভিভাবক শিশুদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন বলে খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন ডিপিএসসির চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা। এ দিন সন্তোষ বলেন, ‘‘ওই সমস্ত এলাকায় সচেতনতামূলক সভা আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গুজবে কান না দিয়ে অভিভাবকদের নির্ভয়ে পডুয়াদের প্রাথমিক স্কুলে ও শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে পাঠাতে বলা হয়েছে।’’ বিডিওদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলে চেয়ারম্যান জানান।
এ দিন বালুরঘাট, পতিরাম ও গঙ্গারামপুর থানার পক্ষ থেকে সচেতনতা বাড়াতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যুগ্ম বিডিও, পুরপ্রধান এবং পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের সঙ্গে উপস্থিত থেকে কি ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে, জানান ডিএসপি সোমনাথ ঝা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy