Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

গভীর রাতে আগুনে ছাই ভিতরবাজার

হাসপাতালের রান্নাঘরে অগ্নিকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আগুন গাজোলে। রবিবার গভীর রাতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ছাই হয়ে গেল গাজোলের ভিতর বাজারের চারটি দোকান। একটি হোটেল-সহ আরও কয়েকটি দোকানআংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন।

জ্বলছে গাজোলের ভিতরবাজার। — নিজস্ব চিত্র

জ্বলছে গাজোলের ভিতরবাজার। — নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:১৯
Share: Save:

হাসপাতালের রান্নাঘরে অগ্নিকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আগুন গাজোলে। রবিবার গভীর রাতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ছাই হয়ে গেল গাজোলের ভিতর বাজারের চারটি দোকান। একটি হোটেল-সহ আরও কয়েকটি দোকানআংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। পরে মালদহ থেকে যাওয়া দমকলের একটি ইঞ্জিন প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। প্রাথমিকভাবে দমকলের ধারণা, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে।

কয়েক দিনের মধ্যে ফের আগুন গাজোলে দমকলকেন্দ্র না থাকার সমস্যা ফের সামনে এনে দিয়েছে। ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও এলাকায় একটি দমকল কেন্দ্র গড়ে না ওঠায় ব্যবসায়ী মহল থেকে শুরু করে বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গত কয়েকমাস আগে গাজোল উৎসবে এসে কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু দমকল কেন্দ্রের জন্য গাজোল কৃষিফার্মের কিছু জমি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে গিয়েছেলেন। কিন্তু সেই পর্যন্তই। এখনও কোনও জমি বরাদ্দ না হওয়ায় দমকল কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ বিশ বাঁও জলে। আর তাই গাজোলে কোনও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ৩০ কিলোমিটার দূরে মালদহ সদর থেকে দমকলের ইঞ্জিন আসতে সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। রবিবারেও তাই হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ভিতরবাজারে জয়ন্ত সরকার নামে এক ব্যবসায়ীর ডালের দোকানে প্রথম আগুন লাগে। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশেই থাকা সুরেন সরকারের মুদিখানায়। একটি দশকর্মা ও সব্জির দোকানেও আগুন ধরে যায়। অশোক রায় নামে এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, ‘‘আমি রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ দেখি একটি দোকানে আগুন জ্বলছে। আমার ভাই ভোম্বলের দোকানও ওই বাজারেই রয়েছে। ভাইকে নিয়ে ছুটে যাই।’’

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মালদহ দমকল কেন্দ্রে খবর দেওয়ার প্রায় ৪৫ মিনিট পর দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। আগুন নিভতে কেটে যায় প্রায় দু’ঘণ্টা। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জয়ন্ত সরকার বলেন, ‘‘সামনেই পুজো। তাই বিভিন্ন রকমের ডাল মজুত ছিল। সব শেষ হয়ে গেল।’’ গাজোল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিমল দাস বলেন, ‘‘মাঝেমধ্যেই আগুন লাগছে। কিন্তু এখানে দমকল কেন্দ্র না থাকায় মালদহ থেকে ইঞ্জিন আসতে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কয়েকমাস আগে কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দুবাবু গাজোল উৎসবে দমকল কেন্দ্রের জন্য জমি দেওয়ার কথা বলে গেলেও জমি এখনও দেওয়া হয়নি।’’ মালদহ মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা বলেন, ‘‘গাজোলে দমকল কেন্দ্রের জন্য আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠালেও এখনও কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Fire Bhitar Bajar Burned Malda
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE