Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
Child death

Child Death: টাকার জন্য শিশুকে মায়ের থেকে আলাদা করল বৃহন্নলা, অভুক্ত থেকে মৃত্যু নবজাতকের

অভিযোগ, বারোশো টাকা দাবি করেছিলেন বৃহন্নলা। গরিব পরিবারটি ৩০০ টাকা দিতে পারবে বলে জানায়। কিন্তু তাতে রাজি হননি তিনি।

শোকগ্রস্ত পরিবার। নিজস্ব চিত্র।

শোকগ্রস্ত পরিবার। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মানিকচক শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২১ ১১:২০
Share: Save:

কোনও নবজাতকের খবর পেলেই সেই পরিবারের বাড়িতে হাজির হন বৃহন্নলারা। এ দৃশ্য দেখা যায় এ রাজ্যে। কখনও কখনও চাপ দিয়ে নবজাতকের পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ ওঠে বৃহনল্লাদের বিরুদ্ধে। রাজি না হলে নানা ভাবে সেই পরিবারকেও হেনস্থাও করেন তাঁরা। এ বার বৃহন্নলাদের বিরুদ্ধে সেই সব অভিযোগ ছাপিয়ে গেল মালদহের মানিকচকে। অভিযোগ, দাবি মতো টাকা না দেওয়ায় এক নবজাতককে তার মায়ের কাছ থেকে দীর্ঘ ক্ষণ আলাদা করে রেখেছিলেন এক বৃহন্নলা। খেতে না পেয়ে মৃত্যু হয় সেই শিশুটির। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক থানার বাঙালগ্রামে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত বৃহনল্লাকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঙালগ্রামের বাসিন্দা মাম্পি মাজি ২৯ অক্টোবর মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিন সন্তানের জন্ম দেন। ওই তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। বুধবার মাম্পির বাড়িতে হাজির হন স্থানীয় এক বৃহন্নলা। অভিযোগ, তিন ঘণ্টা ধরে শিশুটিকে নিজের কাছে আটকে রাখেন তিনি। জোরে জোরে ঢোল বাজাতে থাকেন। এমনকি মাম্পি এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা শিশুটিকে খাওয়াতে চাইলে ওই বৃহন্নলা ছাড়তে চাননি।

অভিযোগ, বারোশো টাকা দাবি করেছিলেন বৃহন্নলা। গরিব পরিবারটি ৩০০ টাকা দিতে পারবে বলে জানায়। কিন্তু তাতে রাজি হননি তিনি। পরে জোরাজুরিতে পাঁচশো টাকা দিতে রাজি হন শিশুর পরিবারের সদস্যেরা। কিন্তু তার পরেও শিশুটিকে ছাড়া হয়নি বলে অভিযোগ। মায়ের কাছ থেকে দীর্ঘ ক্ষণ দূরে সরিয়ে রাখায় এবং খেতে না দেওয়ায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে মাম্পি এবং স্থানীয়দের দাবি।

এই ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে ওই বাড়িতে ছুটে যান মানিকচক থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঠিক কী কারণে শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

Child death manikchak
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE