গিয়ান-ব্যারে সিনড্রোমে (জিবিএস) মৃত্যু হল আরও এক জনের। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম দেবকুমার সাউ। বয়স ১০ বছর। উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলের বাসিন্দা ছিল সে। বুধবার কলকাতার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরেই নানা উপসর্গে ভুগছিল দেবকুমার। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় তার। বিসি রায় হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, একই রোগে আক্রান্ত আরও দুই শিশু চিকিৎসাধীন সেখানে। তাদের মধ্যে এক জন উত্তর ২৪ পরগনারই বাসিন্দা। তারও বয়স দশের আশেপাশে।
আরও পড়ুন:
রাজ্যে গিয়ান-ব্যারে সিনড্রোমে মৃত্যুর প্রথম খবরটি মঙ্গলবার প্রকাশ্যে আসে। মৃত কিশোর উত্তর চব্বিশ পরগনার আমডাঙা থানার তাবাবেরিয়া গ্রামের বাসিন্দা অরিত্র মণ্ডল। এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিত সে। গত ২৩ তারিখ গলায় ব্যথা নিয়ে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল অরিত্রকে। সেখান থেকে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার এনআরএসে। সেখানেই সোমবার রাতে মৃত্যু হয় তার। পরিবারের দাবি, হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরে অরিত্রের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। চিকিৎসায় গাফিলতিতেই ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে পরিবার। অরিত্রের মৃত্যুর উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন:
এইচএমপিভি-র পর এ বার দেশ জুড়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে গিয়ান-ব্যারে সিনড্রোম। ইতিমধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মহারাষ্ট্রে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। পুণেতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০১ জন, যাঁদের মধ্যে অন্তত ৬০ জনের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁদেরকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুই মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে রাজ্যেরও। বুধবার এ নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে।