ময়নাগুড়ির বারোহাতি এলাকার মাত্র দু’ঘণ্টার ব্যবধানে দু’টি বাইসন মারা যায়। —নিজস্ব চিত্র।
ফের বাইসনের মৃত্যু ময়নাগুড়িতে। সোমবারও দু’টি বাইসন মারা গিয়েছিল। শুক্রবার ময়নাগুড়ি ব্লকের বারোহাতি এলাকার মাত্র দু’ঘণ্টার ব্যবধানে দু’টি বাইসন মারা যায়। চলতি সপ্তাহে চার দিনের মাথায় ফের একই ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে বন দফতর।
বন দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার রামসাই সংলগ্ন ময়নাগুড়ি এলাকায় একটি আলুক্ষেতে দু’টি বাইসন মারা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আলুক্ষেতের মধ্যে একই জায়গায় বাইসন দু’টি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েছিল। আচমকা ক্ষেতের মধ্যে পড়ে গিয়ে দাপড়াতে শুরু করে তারা। এর পর সেখানেই বাইসন দু’টির মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে রামশাই মোবাইল স্কোয়াডের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ময়নাতদন্তের জন্য বাইসনের দেহ দু’টি গরুমারায় নিয়ে যান তাঁরা।
প্রসঙ্গত, প্রায় একই ভাবে সোমবার দু’টি বাইসনের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়েরা। চলতি সপ্তাহে একের পর এক বাইসনের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছেন বন দফতরের আধিকারিকেরা। অ্যানথ্রাক্স জাতীয় কোনও মারণ রোগেই বাইসনগুলির মৃত্যু হয়েছে কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়েরা। যদিও গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের ডিএফও অংশু যাদব বলেন, ‘‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর বাইসনের মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তবে কয়েক দিন আগে মৃত বাইসন দু’টির মধ্যে একটির ক্রিমি হওয়ায় মৃত্যু হয়েছে। তার পেট থেকে প্রচুর ক্রিমি পাওয়া গিয়েছে। অপর বাইসনটি গর্ভবতী ছিল। পেটে আঘাতজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে সেটির।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মরসুমের এ সময় বাইসনের পেটে ক্রিমি হয়। আজও (শুক্রবার) বাইসন দু’টি ক্রিমিজনিত কারণ মারা যেতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে বাইসনের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy