বলাগড় হত্য়াকাণ্ডে ধৃত মহিলা। নিজস্ব চিত্র।
হুগলির বলাগড়ে ওঝা খুনে ১০ হাজার টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার এই দাবি করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে টানাপড়েনের কারণেই এই খুন।
গরিফার বাসিন্দা পুরেন্দর চৌধুরীকে (৪০) খুন করা হয়েছিল গত ২ অক্টোবর। তাঁকে খুন করার অভিযোগে লাল্টু চৌধুরী নামে অভিযুক্তকে গত ১৮ অক্টোবর গ্রেফতার করেছিল বলাগড় থানার পুলিশ। তাকে ১০ দিনের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে ঘটনার পর্দা ফাঁসের দাবি করেছে পুলিশ।
প্রাক্তন চটকল শ্রমিক পুরন্দর মাঝে মধ্যে ওঝার কাজ করতেন। গত ৩ অক্টোবর বলাগড় থানার ডুমুরদহ ফুলপুকুর এলাকায় রেললাইনের পাশে নয়ানজুলিতে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়েরা। দেহ উদ্ধার করে বলাগড় থানা। প্রথমে তাঁর পরিচয় পাওয়া না গেলেও পরে জানা যায়। নৈহাটির গড়িফার বাসিন্দা পুরেন্দর জুটমিলে কাজ করতেন। পরে ঝাঁড়ফুঁক, তুকতাক করাও শুরু করেছিলেন।
ধৃত লাল্টু পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করে বলে জানান হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি দেবীদয়াল কুন্ডু। তাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার দিন অর্থাৎ ২ অক্টোবর পুরেন্দরকে ডুমুরদহ নিয়ে যায় লাল্টু। সেখানে মদ খায় দু’জনে। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করে নয়ানজুলিতে দেহ ফেলে দেয়।
ওঝার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। তিনি কার সাথে মিশতেন, বন্ধুবান্ধব কারা, তা জানতে পারে পুলিশ ।সেই সূত্র ধরে পুলিশ লাল্টুর খোঁজ পায়। লাল্টু জেরায় কবুল করে খুনের কথা। সে জানায় ওঝাগিরি করার জন্য পুরেন্দরকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত তাকে। কল্যানীর মাঝেরচরের জদুবাটির জুইতি মাহাতর সঙ্গে সেই সুবাদে পরিচয়। জুইতির ছেলে অসুস্থ ছিল। তাকে ঝাড়ফুঁক করে ওঝা। মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল পুরেন্দরের। মহিলার ছেলেও সুস্থ হয়নি।
জুইতি পুলিশকে জানিয়েছে, সে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও রাজি হয়নি পুরেন্দর। তখনই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে জুইতি। ওঝাকে খুন করলে লাল্টুকে দশ হাজার টাকা দেবে বলে। পাঁচ হাজার টাকা অগ্রিমও দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy