২৪ তারিখ দ্বিতীয় দফার ভোট। গাজলে টহল কেন্দ্রীয় বাহিনীর। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়।
মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সুজাপুর বিধানসভা আসনের সব ক’টি বুথে আধা সামরিক বাহিনী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। বিরোধী কংগ্রেস ও সিপিএম নিবার্চন কমিশনের কাছে সুজাপুর বিধানসভার সব বুথে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছিল।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কালিয়াচকের নওদা যদুপুর ও মোজামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পাঁচটি পঞ্চায়েত সমিতিতে কোনও প্রার্থী দিতে পারেনি কংগ্রেস ও সিপিএম। তাদের অভিযোগ ছিল, তৃণমূলের সন্ত্রাসের জেরেই এই ঘটনা ঘটে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ওই দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল দখল করেছিল।
ফের লোকসভা নির্বাচনেও কালিয়াচকে তৃণমূলের সন্ত্রাসের ‘আশঙ্কায়’ কংগ্রেস ও সিপিএমের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে সুজাপুর বিধানসভা ক্ষেত্রের সব কটি বুথে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করে ভোট করানোর দাবি করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কালিয়াচকে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে কমিশন কালিয়াচকের সুজাপুর বিধানসভা ক্ষেত্রের ২১২টি বুথেই আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে বিরোধীদের অভিযোগ, কালিয়াচক এলাকায় এখনও প্রায় ৫০০ জন ফেরার অপরাধী ধরা পড়েনি। মালদহের জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী বলেন, “কালিয়াচক-সহ জেলার সমস্ত ফেরার অপরাধীদের পুলিশকে ধরার জন্য বলা হয়েছে।” জেলা পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলেন, “বেশির ভাগ ফেরার অপরাধী ধরা পড়েছে। বাকিদের ধরতে তল্লাশি চলছে।”
কমিশন সুজাপুর বিধানসভার প্রতি বুথে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়ন করে ভোট করানোর সিদ্ধান্তে খুশি কংগ্রেস ও সিপিএম। মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “পঞ্চায়েত নিবার্চনে কালিয়াচকের বহু জায়গায় মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এ বার লোকসভায় ভোট দিতে পারবেন।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্রের দাবি, “কমিশন আমাদের দাবি মেনে সুজাপুরের সমস্ত বুথে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করে ভোট করছে।” জেলা তৃণমূল সভানেত্রী তথা রাজ্যের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “কালিয়াচকে কংগ্রেসের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। আধা সামরিক বাহিনী নামুক। কংগ্রেস জিততে পারবে না।”
মালদহ জেলার ২৬৪৬ বুথের জন্য ৪২ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মালদহে আসছে। পাশাপাশি স্ট্রংরুমের জন্য অতিরিক্ত দু’কোম্পানী আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy