দার্জিলিঙে জিএনএলএফের মিছিল। ছবি: রবিন রাই।
ফের পাহাড়ে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আগামী সপ্তাহেই তাঁর দার্জিলিং সফরে আসার কথা বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। তার আগেই পাহাড়ে ষষ্ঠ তফশিল কার্যকর করার দাবিতে লাগাতার আন্দোলন ঘোষণা করল জিএনএলএফ। তাদের দাবি, যত দিন ষষ্ঠ তফশিল লাগু হচ্ছে না ততদিন দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিলকে কার্যকরি করতে হবে।
রাজ্যে পরিবর্তনের পরে কাউন্সিলের পরিবর্তে জিটিএ গঠন করা হয়েছে। পাহাড়েও জিএনএলএফের বদলে ক্ষমতায় এখন গোর্খা জমমুক্তি মোর্চা। এ অবস্থায় শনিবার সকালে দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে কয়েকশো সমর্থক নিয়ে জিএনএলএফের পদযাত্রার বিশে তাৎপর্য রয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এ দিন পদযাত্রা শেষে শহরের বুকে পথসভাও করে জিএনএলএফ।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দেড় মাস প্রতি শনিবার ষষ্ঠ তফশিল এবং কাউন্সিলের দাবিতে তারা পদযাত্রা করবে। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে নিঃশর্ত সমর্থন করেছিলেন জিএনএলএফ সুপ্রিমো সুবাস ঘিসিঙ্গ। প্রচারেও সে কথা ফলাও করে জানিয়েছিল জিএনএলএফ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নিঃশর্ত সমর্থনের কথা বললেও, সে সময়েই ষষ্ঠ তফশিল এবং হিল কাউন্সিল ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে রেখেছিল জিএনএলএফ। সে কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে ফের রাজনৈতিক আন্দোলন শুরু করে রাজনৈতিক বার্তা দিতে চাইছে জিএনএলএফ।
এ দিন, জিএনএলএফের দার্জিলিং মহকুমার শাখা আহ্বায়ক এমজি সুব্বা বলেন, “দলনেতা সুবাস ঘিসিঙ্গের নির্দেশেই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী শনিবার থেকে সুখিয়াপোখরি, মিরিক, সুকনা-সহ পাহাড়ের বিভিন্ন প্রান্তে পদযাত্রা হবে। এই পর্বের কর্মসূচি সারা হলে ফের নতুন আন্দোলনের কথা ঘোষণা করা হবে।”
১৯৮৮ সালের ২২ অগস্ট হিল কাউন্সিল গঠিত হয়। পরবর্তীতে ষষ্ঠ তফশিল লাগু হওয়া নিয়ে কেন্দ্র, রাজ্য এবং জিএনএলএফের মধ্যে চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। যদিও সংসদে পাশ না হওয়ায় বিষয়টি এখনও আটকে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সুব্বার কথায়, “হিল কাউন্সিলের সাংবিধানিক রক্ষাকবচ ছিল। জিটিএ-এর তাই নেই। সে কারণেই কাউন্সিল ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়েছে।”
মোর্চার তরফে অবশ্য হিল কাউন্সিল ফেরানোর দাবিকে আগেই ‘অবাস্তব’ বলে দাবি করা হয়েছে। জিটিএ চিফ তথা মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ হিল কাউন্সিলের দাবি দার্জিলিংকে পেছনে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে বলে সম্প্রতী ফেসবুকে মন্তব্য করেছিলেন। এ দিন এক মোর্চা নেতার কথায়, “জিএনএলএফের সংগঠন নেই। উল্টোপাল্টা দাবি করে তারা আলোচনায় ফিরতে চাইছে। কাউন্সিলের থেকে জিটিএ অনেক বেশি শক্তিশালী।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy