নার্সের পরিচর্যায় রয়েছে শিশুটি। —নিজস্ব চিত্র।
এক মাসের শিশুকে হাসপাতালে রেখে চলে গিয়েছেন মা —এমনই অভিযোগ উঠেছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রসূতি বিভাগের ৪০ নম্বর শয্যায় ওই শিশুকে কাঁদতে দেখে হাসপাতালের রোগীরা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানান। হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা শিশুটিকে দেখাশোনা করার পরে শিশু সুরক্ষা কমিটির হাতে তুলে দেন। মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডেপুটি সুপার জ্যোতিষ চন্দ্র দাস বলেন, “মাসখানেক ধরে এক মহিলা তাঁর সদ্যোজাত শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এদিন তিনি উধাও হয়ে যান। আমরা শিশু সরক্ষা কমিটির হাতে শিশুটিকে তুলে দিয়েছি। ইংরেজবাজার থানাতেও অভিযোগ জানানো হয়েছে।”
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে,গত ৭ ফেব্রুয়ারি রেল পুলিশ সদ্যোজাত শিশু সহ ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করায়। পুলিশকে মহিলা তাঁর নাম পুজা রায় বলে জানিয়েছিলেন। বাড়ির ঠিকানা দেওয়া হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার ভক্তিনগর থানার শালিগ্রামে। রেল পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, মহিলাটি বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের মহিলার কামরায় ছিল। মালদহের চামাগ্রাম স্টেশনের কাছে ট্রেনের মধ্যে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। পরে ট্রেনটি মালদহ টাউন স্টেশনে পৌঁছলে রেল পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করায়। মহিলার পাশের শয্যায় চিকিৎসাধীন কালিয়াচকের সুজাপুরের বাসিন্দা ফারহানা বিবি বলেন, “পাঁচদিন ধরে আমি ভর্তি রয়েছি। তার পরিবারের লোকেরা কোথায় আছে তা জানতে চাইতাম। সঠিক উত্তর কখনও দিত না সে। কখনও বলত কয়েকদিন বাদে আসবে। আবার কখনও বলত আমাকে একাই যেতে হবে। মনে হয় সে ঠিকানাও ভুল দিয়েছে।”
মেয়ে হওয়ায় ফেলে রেখে চলে গিয়েছেন বলে হাসপাতালের অনেকের সন্দেহ। শিশু সুরক্ষা কমিটির সদস্য শুভময় বসু বলেন, “শিশুটি সুনীতি শিশু গৃহে থাকবে। হাসপাতাল থেকে মহিলার নাম পরিচয় নেওয়া হয়েছে সেখানে যোগাযোগ করার চেষ্টা করব।” মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy