পাচারকারী ভুল করে মোবাইল ফেলে গিয়েছিল। সেই মোবাইল থেকে বাড়ির লোকজনের কাছে এসএমএস পাঠিয়ে পাচারকারীর হাত থেকে বাঁচল এক কিশোরী। সোমবার এক মাস বাদে বীরপাড়ার নেপালি হাই স্কুলের নবম শ্রেণির সেই ছাত্রী বাড়িতে ফিরেছে। পুলিশ ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বীরপাড়ার বাসিন্দা এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, বীরপাড়া শহরের কাছে একটি গ্রামের কৃষক পরিবারের মেয়ে ওই কিশোরীর বাড়িতে এক ভাই ও এক বোন রয়েছে। প্রতিবেশী এক মহিলা দিল্লিতে মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দেয় কিশোরীকে। ওই কিশোরীর বাবা নেপালে গিয়েছেন সম্প্রতি। তারপরে ওই প্রতিবেশী মহিলার সঙ্গে গত ২০ মার্চ দিল্লি পাড়ি দেয় সেই কিশোরী। উদ্ধার হওয়ার পরে ওই কিশোরী জানিয়েছে, তার সঙ্গে ছিল ডুয়ার্সের চা বাগানের আরও চার কিশোরী। সকলকেই একটি ঘরে বন্দি করে রাখা হয়।
পুলিশ জেনেছে, তাদের চার জনকেই বিক্রি করে দেওয়ার ছক কষা হয়েছিল। মাঝে মধ্যে ক্রেতারা তাদের ওই ঘরে দেখতেও আসত। কান্নাকাটি করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হত। সপ্তাহখানেক আগে পাচারকারী ঘরে কিছু ক্ষণের জন্য মোবাইল ফোন ফেলে রাখে। সেই মোবাইল থেকে দিদিকে এসএমএস পাঠায় ওই কিশোরী। সেই এসএমএস পাওয়ার পরে তার পরিবারের লোকজন ওদলাবাড়ির এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই সংগঠনের লোকজন পুলিশে ধরিয়ে দেবার ভয় দেখানোর পরে সোমবার ট্রেনে চাপিয়ে ওই কিশোরীকে বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেয় পাচারকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy