নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়ে প্রচারপত্র বিলি করছে কোচবিহার জেলা পুলিশ। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতির সঙ্গেই জেলা জুড়ে ‘লিফলেট’ প্রচার শুরু হয়েছে। শহরের জনবহুল রাস্তা থেকে গ্রামের মেঠো পথে গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। কেউ ভয় দেখালে, অথবা প্রলোভন দিলে বা অন্য কোনও অভিযোগ থাকলে কোন ফোন নম্বরে জানাতে হবে তার উল্লেখ থাকছে লিফলেটে। অভিযোগকারীর পরিচয় পুরোপুরি গোপন রাখা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ওই লিফলেটে। কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট গ্রহণ নিশ্চিত করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোনও অভিযোগ থাকলে কোথায় জানাতে হবে সেটা অনেকেই জানেন না। সে কারণেই লিফলেটে ফোন নম্বর ছাপানো হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, পুরশা হোক বা লোকসভা, ভোটের সময় বাসিন্দাদের একাংশকে প্রভাবিত করার অভিযোগ নতুন নয়। বিরোধীদলে থাকার সময়ে বামেদের বিরুদ্ধে জেলার গ্রামে বিরোধী সমর্থকদের প্রলোভন দেখানর পাশাপাশি ভয়ভীতি দেখানর বিস্তর অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। গত পঞ্চায়েত ভোটে বাম ও বিরোধীরা একই রকম অভিযোগ তোলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এবারেও লোকসভা ভোটের ঘোষণার পরেই জেলা জুড়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ বাসিন্দাদের পাশে থাকার বার্তা দিতে পুলিশের তরফে জেলায় লিফলেট বিলি শুরু হয়েছে। কোচবিহারে এ ধরনের পুলিশি উদ্যোগ প্রথম বলেই জানা গিয়েছে।
ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ অভিযোগ করে বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে বাসিন্দারা তৃণমূলের সন্ত্রাস দেখেছেন। জেলাজুড়ে এবারেও ভোটারদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতির জেরে পুলিশকে এ সব করতে হচ্ছে। বাম আমলে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পারতেন বলে এমন প্রচারপত্রের দরকার হয়নি।” যদিও, তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের পাল্টা দাবি, “আগে বামেরা পুলিশ প্রশাসনকে কুক্ষিগত করে নির্বাচন করাতেন। আমরা স্বচ্ছভাবে সাধারণ বাসিন্দাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের পক্ষে। পুলিশ ভাল উদ্যোগ নিয়েছে।” বিজেপি’র জেলা সম্পাদক নিখিল রঞ্জন দে’র প্রতিক্রিয়া, “আগে বামেরা, গত পঞ্চায়েতে তৃণমূল ক্ষমতায় থাকার সুবাদে অপচ্ছন্দের বাসিন্দাদের ভোট দিতে বাধা দিয়েছে। সঠিক ভাবে ওই উদ্যোগ মেনে কাজ হলে মানুষের আস্থা ফিরবে।” কংগ্রেস প্রার্থী কেশব রায়ের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে পুলিশের ভূমিকা যথাযথ ছিল না। এবার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের নজর থাকবে। তাই প্রচারপত্র বিলি করছে পুলিশ।
পুলিশের দেওয়া লিফলেটে অভিযোগ জানাতে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের মোবাইল নম্বর ছাড়াও কন্ট্রোল রুমের নম্বর (০৩৫৮২-২২৭৭৮১) দেওয়া হয়েছে। পুলিশের দাবি, রোজই ওই নম্বরে ফোন আসছে। কিছু ক্ষেত্রে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy