Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

ঠুলুঙ্গকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গুরুঙ্গের

অস্ত্র লেনদেনে দলের নেতা-কর্মীদের নাম জড়িয়ে পড়ায় ঘরে বাইরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। অসমের চিরাংয়ে অস্ত্র উদ্ধার মামলায় জিটিএ সদস্য সঞ্জয় থুলুঙ্গ এবং জিএলপি সদস্য উমেশ কামির নাম জড়িয়ে যাওয়ায় দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, দলের শীর্ষ নেতাদের অন্ধকারে রেখে অস্ত্রের লেনদেন অথবা দার্জিলিঙে প্রচুর পরিমাণে অত্যাধুনিক অস্ত্র মজুত করার সাহস কী ভাবে কেউ পেতে পারেন?

নিজস্ব সংবাদদাতা
দার্জিলিং ও গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৪৭
Share: Save:

অস্ত্র লেনদেনে দলের নেতা-কর্মীদের নাম জড়িয়ে পড়ায় ঘরে বাইরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। অসমের চিরাংয়ে অস্ত্র উদ্ধার মামলায় জিটিএ সদস্য সঞ্জয় থুলুঙ্গ এবং জিএলপি সদস্য উমেশ কামির নাম জড়িয়ে যাওয়ায় দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, দলের শীর্ষ নেতাদের অন্ধকারে রেখে অস্ত্রের লেনদেন অথবা দার্জিলিঙে প্রচুর পরিমাণে অত্যাধুনিক অস্ত্র মজুত করার সাহস কী ভাবে কেউ পেতে পারেন? তাই দ্রুত বিষয়ে দলের নেতাদের প্রকাশ্যে অবস্থান ব্যাখ্যা করার দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। পক্ষান্তরে, পাহাড়ের মোর্চা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও মোর্চার সমালোচনা শুরু করেছে। চাপের মুখে পড়ে জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ডেকে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করেছেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। বুধবার দার্জিলিঙে দলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিটিতে কারা রয়েছেন তা অবশ্য মোর্চার তরফে জানানো হয়নি।

মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি এ দিন বলেন, “আমরা খোলা মনে আলোচনা করেছি। পুরো ঘটনাটিই আচমকা হয়েছে। কী ভাবে কী হয়েছে, তা আমরা ঠিক জানিও না। প্রকৃত ঘটনা দল উদ্ঘাটন করবে। ২০০৭ সালে মোর্চা গঠন থেকে এখনও অবধি গাঁধীবাদী আন্দোলনের পথে হাঁটছেন। হিংসার পথে চলার কোনও প্রশ্নই নেই।”

তবে চিরাং-এ ধৃতদের জেরা করে পুলিশ কিন্তু মোর্চা নেতাদের কয়েকজনের নাম জানতে পেরেছে। তদন্তে অসম পুলিশ জেনেছে, ডিমাপুর থেকে যে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজগুলি দার্জিলিঙে পাঠানো হচ্ছিল, তার বাজার দর ১৬ থেকে ২০ লক্ষ টাকা। ধৃত কামি মোর্চার নেতাদের গাড়ির চালক হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করায় আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন বলে পুলিশের দাবি। সে কারণে তাঁকেই সোজা গাড়ি দিয়ে ডিমাপুর পাঠানো হয়। অসম পুলিশের দাবি, ধৃত দু’জনই জেরায় বলেছে, সন্ত্রাসের জন্য নয়, ‘ভোটের আগে হাতে ভাল অস্ত্র থাকা দরকার’ সেই জন্যই থুলুং অস্ত্র জোগাড়ের চেষ্টা করেন। তবে কোন ভোটের কথা বলা হয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য ধন্দে অসম পুলিশ। অস্ত্র দিলে থুলঙ্গ মোটা টাকা দেবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলে কামি দাবি করেছেন। রাজ্য পুলিশও গত ৯ নভেম্বর জিটিএ সদস্য সঞ্জয় থুলুঙ্গের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। এসপি অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “৭ নভেম্বর অস্ত্র সহ যে দুজন অসমে ধরা পড়েছে তাদের জেরায় জানা গিয়েছে, সঞ্জয়ের বাড়িতে অস্ত্র যাওয়ার কথা ছিল। তল্লাশি চালিয়ে সঞ্জয়কে পাওয়া যায়নি।” আরও কোনও মোর্চা নেতার নাম জেরায় মিলেছে কি না জানতে চাওয়ায় পুলিশ সুপার বলেন, “আমরা যেমন তথ্য পাচ্ছি, সেই মতো এগোচ্ছি।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE