Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

আদালতের নির্দেশ না মানার নালিশ

আদালতের নির্দেশ মানছে না পুলিশ বলে অভিযোগ উঠেছে। শিলিগুড়ির দেশবন্ধুপাড়ার বাসিন্দা মিতা ঝা তাঁর স্বামী প্রকাশ চন্দ্র ঝার বিরুদ্ধে খোরপোশের মামলা করেছিলেন। গত নভেম্বরে শিলিগুড়ি আদালতের বিচারক সুপর্ণা দত্তের এজলাসে মামলা পেশ হলে মাসে ১০ হাজার টাকা তাঁর এবং খোরপোশের নির্দেশ দেন বিচারক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:৪৮
Share: Save:

আদালতের নির্দেশ মানছে না পুলিশ বলে অভিযোগ উঠেছে। শিলিগুড়ির দেশবন্ধুপাড়ার বাসিন্দা মিতা ঝা তাঁর স্বামী প্রকাশ চন্দ্র ঝার বিরুদ্ধে খোরপোশের মামলা করেছিলেন। গত নভেম্বরে শিলিগুড়ি আদালতের বিচারক সুপর্ণা দত্তের এজলাসে মামলা পেশ হলে মাসে ১০ হাজার টাকা তাঁর এবং খোরপোশের নির্দেশ দেন বিচারক। কিন্তু তার পর থেকে কোনও টাকা এ পর্যন্ত পাননি ওই মহিলা বলে দাবি করেন তিনি নিজেই। মিতাদেবী জানান, ২০১০ সালে বিয়ে হলেও বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপরে অত্যাচার করতেন পেশায় পুলিশ কনস্টেবল প্রকাশবাবু। তিনি বর্তমানে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় কর্তব্যরত। মিতাদেবীর দাবি, “আমার বাবাকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তা না দেওয়াতে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান। আমি বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করলেও নিজের পুলিশি প্রভাব খাটিয়ে তিনি গ্রেফতারি এড়ান।” খোরপোশের টাকাও দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। যদিও তাঁর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রকাশবাবু। তিনি বলেন, “আমার কাছ থেকে অর্থ আত্মসাতের জন্য কিছু লোকের উস্কানিতে এ কাজ করছেন আমার স্ত্রী। খোরপোশের মামলার বিরুদ্ধে আমি দার্জিলিং আদালতে মামলা করেছি। তার রায় বের না হওয়া পর্যন্ত খোরপোশ দেওয়ার কোনও কারণ নেই।” পুরো বিষয়টি জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ সুপারকে জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি। যদিও এসপি কুণাল অগ্রবাল বলেন, “আমার বিষয়টি জানা নেই। তা খোঁজ নিয়ে দেখব।”

মহিলার আইনজীবী নিলয় চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, “পুলিশকর্মী বলেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এসপি সহ জলপাইগুড়ি পুলিশকে সমস্ত জানানো সত্বেও তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করছেন না। এমনকী বিচারকের নির্দেশও অমান্য করছেন। এমন হলে আমরা ফের আদালতে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আার্জি জানাব।”

অন্য বিষয়গুলি:

siliguri court order police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE