প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে গত অর্থবর্ষে প্রফেশনাল ট্যাক্স বা বৃত্তিকর বাবদ আদায় হয়েছিল ৫৯৫ কোটি টাকা। যদিও রাজ্যের অর্থ দফতরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অধিকাংশ আধিকারিক মনে করছেন, আদায়ের পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ার কথা। বেতনভুক বহু কর্মী এবং ব্যবসায়ীদের বিরাট অংশ বৃত্তিকর দেন না। ‘করখেলাপিদের’ উদ্দেশে আইনি পদক্ষেপের বার্তা দিচ্ছে অর্থ দফতর।
মাসিক ১০ হাজার টাকার বেশি বেতনভোগী কর্মীদের বৃত্তিকর দিতে হয়। এটা দেওয়ার কথা চিকিৎসক, আইনজীবীর মতো স্বনিযুক্ত পেশাদারদেরও। যে-সব ব্যবসায়ীর বার্ষিক লেনদেন পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি, তাঁদেরও বৃত্তিকর দিতে হয়। তবে এর সর্বাধিক পরিমাণ বছরে আড়াই হাজার টাকার বেশি নয়।
অর্থ দফতরের বৃত্তিকর বিভাগের এক কর্তা জানান, রাজ্যে বৃত্তিকরের আওতায় (‘এনরোলমেন্ট’) নথিভুক্ত ব্যবসায়ীর সংখ্যা সাড়ে ১৩ লক্ষ। তাঁদের প্রায় অর্ধেকই কর দেন না বলে অভিযোগ। বৃত্তিকরের রেজিস্ট্রেশন আছে, এমন ৮০ হাজার নিয়োগকর্তার অনেকেই কর দেন না বলে অভিযোগ উঠছে। রাজ্যের দাবি, নিয়োগকর্তা ও ব্যবসায়ীর বকেয়া বৃত্তিকরের পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকা। তাঁদের কাছে মোবাইলে এবং ই-মেলে বার্তা পাঠানো হচ্ছে। কর না-মেটালে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও বলা হচ্ছে। ওই কর্তা বলেন, ‘‘করখেলাপিদের জানানো হচ্ছে, এখনই কর না-মেটালে পরে ‘জানতাম না’, ‘বুঝতে পারিনি’র মতো অজুহাত শোনা হবে না। হয় জরিমানা দিতে হবে, অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে।’’
অর্থ দফতরের বক্তব্য, বৃত্তিকরের আওতায় আসা উচিত, এমন সব নিয়োগকর্তা, ব্যবসায়ী ও স্বনিযুক্ত ব্যক্তিকে এর আওতায় আনা গেলে সংগৃহীত করের পরিমাণ বাড়বে বহু কোটি। দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘রাজ্যের জনসংখ্যা ১০ কোটি। ধরে নেওয়া যাক, তাঁদের মধ্যে ব্যবসায়ীর সংখ্যা মাত্র ৫০ লক্ষ এবং তাঁদের অর্ধেকের বার্ষিক লেনদেনের পরিমাণ পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি। সে-ক্ষেত্রে বৃত্তিকরের জন্য নাম এনরোলমেন্ট করানো ব্যবসায়ীর সংখ্যা হওয়া উচিত ২৫ লক্ষ। কিন্তু নাম এনরোলমেন্ট করিয়েছেন মাত্র ১৩ লক্ষ ব্যবসায়ী।’’
বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের ক্ষেত্রে মাত্র ৪০ হাজার নিয়োগকর্তা বৃত্তিকর দেন। এই বিষয়ে ধারণা না-থাকায় বহু নিয়োগকর্তা নামই নথিভুক্ত করাননি। অনেকে কর ফাঁকি দিতে নাম লেখাননি বলে অভিযোগ। এমন ব্যবসায়ী, বেসরকারি সংস্থার কর্তাদের খুঁজে বার করছে অর্থ দফতর। কী ভাবে? ওই বৃত্তিকরকর্তা বলেন, ‘‘জিএসটি, এমপ্লয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড, ইএসআই, রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিজ়, শ্রম দফতরের মতো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নথিবদ্ধ ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী সংস্থার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তা থেকে করখেলাপিদের চিহ্নিত করে যোগাযোগ করা হচ্ছে তাঁদের সঙ্গে।’’
চলতি অর্থবর্ষে বৃত্তিকর সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৭০০ কোটি টাকা। তা পূরণ হবে বলেই আশা অর্থ দফতরের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy