শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।
প্রথমে হুড়োহুড়ি, অথচ ভর্তি পর্বের শেষে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন কলেজে কিছু আসন ফাঁকা পড়ে আছে। এই অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বুধবার রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের জানিয়ে দিলেন, কলেজগুলিতে কোনও আসনই ফাঁকা রাখা যাবে না। সংরক্ষিত আসন খালি থাকার বিষয়ে দ্রুত সমাধানসূত্র বার করা হবে বলেও জানান তিনি।
স্নাতক স্তরে ভর্তির শেষ পর্বে এসে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন কলেজে যে-সব আসন ফাঁকা রয়েছে, তার বেশির ভাগই সংরক্ষিত। এ দিন বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে উপাচার্যদের বৈঠকে এই পরিস্থিতির কথা জানান অনেকেই। পরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘কোনও আসন ফাঁকা রাখা যাবে না। মেধাকে বঞ্চিত করা যাবে না। সংরক্ষিত আসন ফাঁকা রয়েছে বলেই উপাচার্যেরা জানিয়েছেন। দফতরের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমাধানসূত্র জানিয়ে দেওয়া হবে।’’ তিনি জানান, এক জন পড়ুয়া যদি পাঁচটা কলেজে আবেদন করেও স্থান না-পান, তা হলে অন্য যে-কলেজে আসন আছে, সেখানে তাঁকে নিতে হবে। তা হবে মেধার ভিত্তিতে। এ বছর ভর্তি প্রক্রিয়া চলে সম্পূর্ণ অনলাইনে। ভর্তির শেষ দিন ধার্য হয় ২৫ জুলাই। মন্ত্রী উপাচার্যদের জানান, ঠিক সময়ে পরীক্ষা নিতে হবে ও ফল প্রকাশ করতে হবে।
পার্থবাবু জানান, অনেক কলেজে অধ্যাপক, আধিকারিক এবং শিক্ষাকর্মীদের ৬৫ বছরের পরেও পুনর্নিয়োগ করা হচ্ছে। এটা কোনও ভাবেই করা যাবে না। তিনি আবার মনে করিয়ে দেন, কোনও কলেজই তাঁদের অন্ধকারে রেখে অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে না।
এ দিন উপাচার্যদের সঙ্গে জাতীয় শিক্ষনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর মতে, কেন্দ্রের শিক্ষানীতির খসড়ায় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। ওই খসড়ায় দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি থাকছে না, ভাষা নিয়ে সঙ্কট হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকার থাকবে না। শিক্ষামন্ত্রী জানান, এই সব বিষয়ে এ দিন উপাচার্যদের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। ‘‘দু’-একটি বিষয় ছাড়া সকলেই একমত, এর একটা সার্বিক প্রতিবাদ হওয়া দরকার। সব বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে তারা যেন তাদের মতামত লিখিত ভাবে সাত দিনের মধ্যে জানিয়ে দেয়,’’ বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়ায় মাধ্যমিক শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা নিয়ে যে-প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, দু’টিতেই তাঁদের আপত্তি আছে। ২০১৭-র জানুয়ারির পরে রাজ্যে আর ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি। ছাত্রভোট কবে হবে, এ দিন তা জানতে চাওয়া হলে শিক্ষামন্ত্রী শুধু বলেন, ‘‘সময়মতো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy