ছবি: পিটিআই।
অমিত শাহের বিশ্বভারতী পরিদর্শনকে ‘অরাজনৈতিক’ রাখতে চাইছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আজ, রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রবেশাধিকার থাকবে না বলে শনিবার বিশ্বভারতীর বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে।
বিশ্বভারতীর এ হেন সিদ্ধান্তের পিছনে অতীতের একটি ঘটনাকেই কারণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ২০১৮ সালে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী তথা আচার্য নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। দর্শকাসনের একেবারের সামনের সারিতে ছিলেন রাজ্য বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতা। মোদীর অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রবেশের সময়েই উঠেছিল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিও। সমাবর্তনে হাজির বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল ওঠে।
সেই ঘটনায় সমালোচনার ঢেউ ওঠে শান্তিনিকেতন জুড়ে। রবীন্দ্র আদর্শে চালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ঘটনা মেনে নিতে পারেননি আশ্রমিক, পড়ুয়া ও প্রাক্তনীদের বড় অংশ। এ বছর অমিত শাহের বিশ্বভারতী পরিদর্শনের বিরোধিতা করে চলেছেন ছাত্রছাত্রী ও প্রাক্তনীদের একটি অংশ। তার উপর নতুন করে আর যাতে আর বিতর্কে জড়াতে না হয়, তাই কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত বলেই মনে করা হচ্ছে।
রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কুমিরডাঙা হেলিপ্যাডে নামার পরে ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট সময় বরাদ্দ আছে বিশ্বভারতীর জন্য। এই সময়ের মধ্যে প্রথমে তিনি রবীন্দ্রভবন, ছাতিমতলা ও সঙ্গীতভবন ঘুরে দেখবেন। তাঁকে স্বাগত জানাতে সঙ্গীতভবনে একটি ছোট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। এর পরে বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তাটির নামকরণ ও নবনির্মিত দু’টি প্রবেশদ্বারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানেও তাঁর উপস্থিত থাকার কথা। শেষে বাংলাদেশ ভবনে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, কর্মী ও আধিকারিকদের সঙ্গে আলাপচারিতার অনুষ্ঠান রয়েছে। এই পুরো সময়টা অমিত শাহ ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা ছাড়া আর কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে না বলেই সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy