নিজস্ব চিত্র।
২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ উপলক্ষে কোনওরকম চাঁদা তোলা যাবে না। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে দল যে কড়া অবস্থান নিতে পারে, তারও ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল থেকে বহিষ্কার করাও হতে পারে। শুক্রবার তৃণমূল ভবনে আয়োজিত দলীয় সভায় তিনি এ কথা জানান।
দু’বছর পর ফের তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ হবে ধর্মতলায়। তা নিয়ে আলোচনা করতেই দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা, জেলা সভাপতি ও শাখা সংগঠনের প্রধানদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এই বৈঠকে অভিষেক ছাড়াও হাজির ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, যুব নেত্রী সায়নী ঘোষেরা। সেই বৈঠকেই অভিষেক বলেন,‘‘এ বারের সমাবেশ আমাদের সবাইকে হাতে হাত মিলিয়ে সফল করতে হবে। কিন্তু, সমাবেশের কারণে দলের কেউ কোনও চাঁদা তুলতে পারবেন না। কারও বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠলে বা প্রমাণিত হল, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি যে সমস্ত আসনে জয় পেয়েছিল সেই সমস্ত এলাকা থেকে এ বার শহিদ দিবসের সমাবেশে বেশি প্রতিনিধিত্ব চেয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক নির্দেশ দিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির সঙ্গে জঙ্গলমহলের জেলাগুলি থেকে এ বারের সমাবেশে বেশি সংখ্যায় কর্মী-সমর্থকদের শহীদ সমাবেশে নিয়ে আসতে হবে। সেই আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনওরকম চাঁদা না তুলে বরং সংগঠনের ওপরেই জোর দিয়ে সমাবেশের প্রস্তুতি নিতে হবে। সূত্রের খবর, বৈঠকে অভিষেক বলেছেন, ‘‘উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তার প্রমাণ এ বারের সমাবেশে রাখতে হবে দলের সর্বস্তরের নেতাদের।’’
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে শুরু হয় লকডাউন। বন্ধ হয় যায় রাজনৈতিক সভা, সমাবেশ ও মিছিল। সেই নিষেধাজ্ঞার কারণে ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের সমাবেশ পরপর দু'বছর ভার্চুয়াল হয়েছিল। কিন্তু, এ বার ফের বড়সড় সমাবেশ করার ভাবনা নিয়েছিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। যা এদিন দলীয় নেতাদের জানিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর যুব নেত্রী থাকাকালীন এই কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। তাই তৃণমূলের যুব সংগঠন এই সমাবেশের দায়িত্বে থাকে। কিন্তু, তৃণমূলের মূল সংগঠনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই সমাবেশের আয়োজন করতে হবে। তাঁদের সহায়তা করবে দলের বিভিন্ন শাখা সংগঠন। শহিদ দিবসের প্রস্তুতি সভা হিসেবে প্রতিটি জেলায় একটি করে সভার আয়োজন করতে নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। কোনওরকম অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব যেন এই প্রস্তুতির ক্ষেত্রে নজরে না আসে বলেও সতর্ক বার্তা দিয়েছেন তিনি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy