ফাইল চিত্র
পাঁচ বছর আগের বিধানসভা ভোটের মতো এ বার আর কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা ঘিরে ‘বিভ্রান্তি ও বিতর্কে’র পুনরাবৃত্তি চায় না সিপিএম। আসন ভাগাভাগি যে ভাবে হবে, নির্দিষ্ট ভাবে সেই সমঝোতাই মেনে চলার বার্তা স্পষ্ট করে দেওয়া হল দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে। সেই সঙ্গেই কোন জেলায় কত আসনে বামেরা লড়তে চায়, তার তালিকা চলতি মাসের মধ্যেই পাঠাতে দলের জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দিল আলিমুদ্দিন।
জেলায় জেলায় কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ কর্মসূচিতে যে ভালই সাড়া পাওয়া যাচ্ছে, শনিবার রাজ্য কমিটির বৈঠকে তেমন রিপোর্টই দিয়েছেন সিপিএমের জেলার নেতারা। সাম্প্রতিক কালে শিলিগুড়ি, কোচবিহার, মেদিনীপুর বা কলকাতায় বাম ও কংগ্রেসের যৌথ মিছিলে ভিড় হয়েছে চোখে পড়ার মতো। বৈঠকে দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, বামেদের নিজস্ব আন্দোলন ও যৌথ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে। বিধানসভায় কোন আসনে কেমন সম্ভাবনা, তার নিরিখে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে কেন্দ্রওয়াড়ি তালিকা দিতে হবে। যা নিয়ে বাম নেতৃত্ব প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
দলীয় সূত্রের খবর, কংগ্রেস-সহ সব গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে সঙ্গে নিয়েই যে লড়াই হবে, তা এ বার অনেক আগে থেকেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আর এই নিয়ে বিতর্ক অপ্রয়োজনীয়। বিজেপি না তৃণমূল— কে বড় শত্রু, এই বিতর্কে কালক্ষেপও নিষ্প্রয়োজন। কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসক দলের বিরুদ্ধেই সর্বশক্তি দিয়ে লড়তে হবে। সেই সঙ্গেই সূর্যবাবু জানিয়েছেন, বামফ্রন্টের বাইরের কিছু বাম দল, যাদের সঙ্গে আন্দোলনের ঐক্য গড়ে উঠেছে, তাদেরও কিছু আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হবে।
রাজ্য কমিটির বৈঠকের পরে প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উপলক্ষে সভায় ছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সূর্যবাবু, বিমানবাবু, মহম্মদ সেলিমেরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনেও মানুষের পাশে দাঁড়াতে আন্দোলনে আরও সক্রিয় হতে ডাক দিয়েছেন বিমানবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy