ছাত্র: বিপ্লব সরকার
বিপ্লব সরকারের চিকিৎসায় সাহায্য করা নিয়ে চাপানউতোর এখন তুঙ্গে।
দাড়িভিট হাইস্কুলের এই দশম শ্রেণির ছাত্রকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য চেন্নাই রওনা দিয়েছেন পরিবারের লোকজন। একই সঙ্গে তাঁরা দাবি করেছেন, অনেকেই সাহায্যের আশ্বাস দিলেও এখনও কিছুই তাঁদের হাতে এসে পৌঁছয়নি। বিপ্লবের মা সরস্বতীদেবী বলেন, প্রয়োজনে তাঁরা ঘটিবাটি বেচে ছেলের চিকিৎসা করাবেন।
পরিবারের এই দাবি কিন্তু অস্বীকার করেছে বাম-ডান দু’পক্ষই। দাড়িভিট গুলিকাণ্ডের পরে আহতের সাহায্যে আসরে নেমেছিল বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এবং সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। এ দিন পরিবারের অভিযোগ মানতে চাননি বিজেপির ইসলামপুর ব্লক সভাপতি সৌম্যরূপ মণ্ডল। তিনি দাবি করেন, ‘‘বিপ্লবের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ আমাদের দল এবং ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ দায়িত্ব নিয়েছে। জানি না কেন বিপ্লবের পরিবার এমন বলছে। তবুও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’’
সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফ-ও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে ফেসবুকে। তাদের দাবি, বিপ্লবের চিকিৎসার দায়িত্ব তারাই নিয়েছে। সংগঠনের জেলা সভাপতি গৌতম বর্মণ বলেন, ‘‘রাজ্য কমিটিতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তারা তা মেনে নিয়েছে। বিপ্লবের চিকিৎসা পরিবার যেখানে করাতে চাইবেন, সংগঠনের তরফে সেই ব্যবস্থা করা হবে।’’
দাড়িভিটের এই ছাত্রের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে এসেছে শাসকদলও। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, বিপ্লবের চিকিৎসার ভার নেবে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে তাঁর পরিবারকে।
গ্রামবাসীরা কিন্তু বলছেন, বিপ্লবের পরিবার চিকিৎসার জন্য এখনও কিছুই হাতে পাননি। সরস্বতীও জানান, ৫০ হাজার টাকা ধার করে চেন্নাই পাঠিয়েছেন তাঁকে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর দাড়িভিট হাইস্কুলে গোলমালের সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ গিয়েছে রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণের। সেই দিনই গুলিতে জখম হন বিপ্লব। গুলি তাঁর পায়ে লাগে। প্রথমে তাঁকে শিলিগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। সেখানে খরচাপত্রের পরে পরিবারের আর্থিক অবস্থা এখন ভাল নয়।
এ দিকে দাড়িভিট এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। শুক্রবার এলাকা ছিল সুনসান। বেশিরভাগ দোকান বন্ধ হয়ে আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy