সৌজন্য: নতুন মন্ত্রীদের শপথগ্রহণের পরে চা চক্রে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর প্লেটে খাবার তুলে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাজভবনে। ছবি: সুমন বল্লভ।
শপথ গ্রহণের পরেই দফতর বণ্টন হয়ে গেল নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে। পুরনো মন্ত্রীদের দফতরেও কিছু রদবদল হল। তাতে আপাতত কিছুটা দায়িত্ব বাড়ল মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। তবে বড়সড় কোনও পরিবর্তন এ দিন হয়নি।
বৃহস্পতিবার রাজভবনে শপথগ্রহণ করেন মন্ত্রিসভার চার নতুন সদস্য সুজিত বসু, তাপস রায়, রত্না ঘোষ এবং নির্মল মাজি। তার পরেই তাঁদের দায়িত্ব ভাগ করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর বিকেল নাগাদ নির্দেশিকা প্রকাশ করে রাজ্য সরকার।
সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন দীর্ঘদিনের বিধায়ক তাপস রায়। পরিষদীয় বিষয়ক দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পেয়েছেন তিনি। ওই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর হাতে শিক্ষা দফতর যেমন ছিল থাকছে।
রত্না ঘোষ পেয়েছেন ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। চিকিৎসা জগৎ ও চিকিৎসক সংগঠনগুলির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ রাখলেও নির্মল মাজিকে করা হয়েছে শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী। দমকল দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন সুজিত বসু।
আবাসন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন চন্দ্রিমা। তার সঙ্গে তাঁর কাছে থাকছে স্বাস্থ্য, ভূমি এবং আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। শোভন চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগের পরে আবাসন দফতরের দায়িত্ব পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন সেই দায়িত্ব পেলেন চন্দ্রিমা।
পূর্ত ও আবাসন দফতরকে এক মন্ত্রীর অধীনে রাখার নজির এর আগে আছে। শোভনবাবুর পদত্যাগের পরে নবান্নের শীর্ষ মহল সেই ছকে দফতরটি ফের পূর্তমন্ত্রীর অধীনে রাখার কথা ভেবেছিল। সূত্রের খবর, মন্ত্রিত্ব ছাড়াও অরূপবাবুর সাংগঠনিক কিছু দায়িত্ব আছে। তিনি একাধিক জেলায় দলীয় পর্যবেক্ষকও। তাই আবাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর দিলে তাঁর ‘বোঝা’ আরও বেড়ে যাবে ভেবে চন্দ্রিমার হাতে দফতরটি দেওয়া হল। যদিও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে স্বাস্থ্য, ভূমিসংস্কার, আদিবাসী উন্নয়নের মতো দফতর এখনই তাঁর হাতে।
সুজিত মন্ত্রী হওয়ার পরে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে দক্ষিণ দমদম পুরসভায়। যেখানে ওই পুরসভার চেয়ারম্যান এক জন কাউন্সিলর, সেখানে রাজ্যের মন্ত্রী ভাইস চেয়ারম্যান হতে পারেন কি? কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘পুরসভা স্বশাসিত সংস্থা। মন্ত্রী যেমন মেয়র হতে পারেন, তেমনই মন্ত্রী ভাইস চেয়ারম্যানও হতে পারেন। আইনগত দিক থেকে বাধা নেই।’’
শপথের পরে নবান্নে যান চার জন নতুন মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy