গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
লেখক অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে মামলায় সব পক্ষকে নোটিস দিতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আবেদনকারী পক্ষের অভিযোগ, লেখক অরুন্ধতী ভারতবর্ষকে ‘হিন্দু ফ্যাসিস্ট এন্ট্রারপ্রাইজ’ বলে তাঁর টুইটার হ্যান্ডলে (বর্তমানে এক্স) পোস্ট করেছিলেন। সেই মন্তব্য মুছতে হবে বলেও হাই কোর্টে আর্জি মামলাকারী মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
ভারতবর্ষের নাগরিক হিসাবে অরুন্ধতীর এই ধরনের মন্তব্য তাঁর কাছে ‘দুঃখজনক’ বলে দাবি মামলাকারীর। তাঁর বক্তব্য, ভারতের সরকার গণতন্ত্র মেনে তৈরি হয়। মানুষ ভোট দিয়ে বেছে নেন সরকারকে। ভারতবর্ষ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। আবেদনকারীর অভিযোগ, শুধু পোস্ট করেই খান্ত হননি লেখক অরুন্ধতী, তিনি পশ্চিম এশিয়ার সংবাদমাধ্যম আল জাজ়িরাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। মিতার দাবি, আল জাজ়িরা নিহত আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনের চ্যানেল।
অরুন্ধতীর মতোই অভিনেতা প্রকাশ রাজ ওই কথা বলেছেন বলে হাই কোর্টে জানিয়েছেন আবেদনকারী। আবেদন শুনে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন ‘দিল্লি হাইকোর্টে কেন যাননি?’’ সেই সঙ্গে পর্যবেক্ষণে তিনি বলেন, সাক্ষাৎকার তো অনেক আগেই হয়েছে। অন্য কোন কোর্টে কি মামলা হয়েছে? সেটা জানাতে পারেনি মামলাকারী। সেই সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এখন ট্যুইটার নাম বদলে এক্স হ্যান্ডল হয়ে গিয়েছে। ফলে নতুন করে নোটিস দিয়ে আসতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
অরুন্ধতীর মতোই অভিনেতা প্রকাশ রাজ ওই কথা বলেছেন বলে হাই কোর্টে জানিয়েছেন আবেদনকারী। আবেদন শুনে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন ‘দিল্লি হাইকোর্টে কেন যাননি?’’ সেই সঙ্গে পর্যবেক্ষণে তিনি বলেন, সাক্ষাৎকার তো অনেক আগেই হয়েছে। অন্য কোন কোর্টে কি মামলা হয়েছে? সেটা জানাতে পারেনি মামলাকারী। সেই সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এখন ট্যুইটার নাম বদলে এক্স হ্যান্ডল হয়ে গিয়েছে। ফলে নতুন করে নোটিস দিয়ে আসতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতার সমর্থনে কথা বলেছেন, এই অভিযোগে ২০১০ সালের একটি মামলায় অরুন্ধতী এবং দিল্লির অধ্যাপক শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের অক্টোবরে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। দিল্লিতে একটি সভায় উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলা এবং কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতার সমর্থনে মুখ খোলার অভিযোগ এনে অরুন্ধতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে। এত দিনে সেই মামলায় অরুন্ধতীদের বিরুদ্ধে ১৫৩এ, ১৫৩বি এবং ৫০৫ ধারায় মামলা করার অনুমতি দেন উপরাজ্যপাল।
১৫৩এ ধারা বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ানো, ১৫৩বি জাতীয় সংহতির পক্ষে বিপজ্জনক কথা বলা এবং ৫০৫ ধারা ভুয়ো তথ্য, গুজব ছড়িয়ে সেনাবাহিনীকে ত্রস্ত করে তোলার চেষ্টায় প্রযুক্ত হয়। অরুন্ধতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দাবি করেছিলেন যে, ‘কাশ্মীর কোনও দিনই ভারতের অংশ ছিল না। তাকে জোর করে সেনা পাঠিয়ে দখল করা হয়েছিল। কাশ্মীরকে তার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়াই কর্তব্য।’ অভিযোগপত্রে ১২৪এ ধারার কথাও ছিল। কিন্তু যেহেতু দেশদ্রোহ সংক্রান্ত ওই আইনে মামলা করা স্থগিত রাখতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট, তাই সেটি এখানে প্রযুক্ত হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy