প্রতীকী ছবি।
দুর্যোগে জল জমার সমস্যার পাশাপাশি, হয়েছে প্রাণহানি, ক্ষয়ক্ষতিও।
সিকিম সীমানার রংপোর কাছে, মামখোলাতে বৃহস্পতিবার রাতে সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের শিবির ধসে দু’জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। জখম দু’জন। নিখোঁজ তিন জন। তল্লাশি চলছে। রংপো এলাকাতেই ধস নামায় বৃহস্পতিবার থেকে ১০ নং জাতীয় সড়কে বন্ধ ছিল। বিপর্যস্ত হয় সিকিম-কালিম্পং যোগাযোগ। শুক্রবার বিকেলের পরে, গাড়ি চলাচল শুরু হয়। কালিম্পঙের ভালুকপ এলাকায় তিনটি বাড়ি ধসে তিন জন জখম হন।
বাড়ি ও মাটির দেওয়াল ধসে বাঁকুড়ার সোনামুখী এবং সিমলাপালে দুই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। বাজ পড়ে বৃহস্পতিবার রাতে পুরুলিয়া মফস্সলে দু’জন ও কেন্দায়
এক জনের মৃত্যু হয়। বৃষ্টিতে আসানসোলে মাটির বাড়ি ভেঙে এ দিন এক শিশু মারা যায়। তার মা ও বোন বাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় দেওয়াল ভেঙে এক প্রৌঢ়া, ঘাটালে বাড়ির চত্বরে ছিঁড়ে পড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবক মারা যান। বীরভূমের লাভপুরে ঘর ভেঙে আহত হন এক দম্পতি। কোপাই নদী উপচে প্লাবিত বোলপুরের কঙ্কালিতলা মন্দির।
রেললাইনে জল জমায় এ দিন খড়্গপুর স্টেশনে হাওড়াগামী পুরুলিয়া এক্সপ্রেসের যাত্রাপথ শেষ করা হয়। প্রতিবাদে স্টেশন মাস্টারের অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। পরে, ওই ট্রেনের যাত্রীদের হাওড়াগামী যে কোনও ট্রেনে সফর করার অনুমতি দেয় রেল। মুর্শিদাবাদের আজিমগঞ্জ-ফরাক্কা লাইনের আহিরণে রেলসেতুর আগে এ দিন দুপুরে ধস ধরা পড়ায় ওই লাইনের সব ট্রেনকে রামপুরহাট-পাকুড় হয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হুগলির শ্রীরামপুরের রাইল্যান্ড রোড এলাকায় রাস্তা থেকে জল না নামায় এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধ করেন। পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে কুড়মুনা-চন্দনপুর মোড়ে সার্ভিস রোডে জল জমায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করা হয়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের বহু জায়গায় ধান-জমি ও পানের বরজে জল জমেছে। পুকুর ও ভেড়ি উপচে যাওয়ায় মাছ চাযের ক্ষতি হয়েছে দুই ২৪ পরগনায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy