ফাইল চিত্র।
অসমের নাগরিকপঞ্জির ফলে যে ভূমিপুত্রদেরও বিপাকে পড়তে হয়েছে, সেই নজির তুলে ধরেই এ বারে এনআরসি বিরোধী প্রচারে জোর আনবে তৃণমূল। এর মধ্যেই কোচবিহার-সহ উত্তরবঙ্গের সব জায়গায় এনআরসি’র বিরোধিতা করে মিছিল-মিটিং করতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দল। তাদের দাবি, হিন্দু-মুসলিম তো বটেই, ভূমিপুত্ররাও এনআরসি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। সেখানে নথি দেখানোর পরেও বহু রাজবংশী মানুষের নাম নেই নাগরিকপঞ্জিতে। এর বাইরেও কোচবিহারের বাসিন্দা মেয়েরা যাঁরা বিবাহসূত্রে অসমের বাসিন্দা, তাঁরা ১৯৭১ সালের আগের নথি জমা দেওয়ার পরেও নাগরিকপঞ্জিতে নাম ওঠেনি। আন্দোলনের লক্ষ্যে এমনই একাধিক উদাহারণ সংগ্রহ করছে তৃণমূল। দলের কোচবিহার জেলার সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “নির্দিষ্ট তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরে এনআরসি’র বিপদের কথা জানানো হচ্ছে।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলার কার্যকরি সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “অসমে এনআরসি’র নামে ঠিক কী হয়েছে, তা মানুষের জানা দরকার। শুধু বাজার গরম করা নয়, নির্দিষ্ট তথ্য আমরা তুলে ধরব কোচবিহারের বাসিন্দাদের সামনে।”
বিজেপি অবশ্য দাবি করেছে, তৃণমূল সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। রাজনৈতিক কারণেই তৃণমূল ওই প্রচার করছে। বিজেপি’র কোচবিহার জেলার সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “বাংলায় এখনও এনআরসি শুরু হয়নি। আমরা এনআরসি চাইছি। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পরে ওই বিষয়ে ভাবা হবে। এ ছাড়া তৃণমূল যা বলছে তা অপপ্রচার। আমরা দ্রুত তার মোকাবিলায় পথে নামব।”
গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন অবশ্য জানিয়েছে, তারা এনআরসি’র পক্ষে। তবে ভূমিপুত্রের নাম বাদ গেলে তারা আন্দোলনে যাবে। সংগঠনের নেতা বংশীবদন বর্মণ বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ১৯৭১ সালকে ভিত্তি সাল ধরে এনআরসি করতে হবে। তার মধ্যে কোনও ভূমিপুত্র পড়ার বিষয় নেই। যদি পড়ে তা হলে জোরালো আন্দোলন হবে। তবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এনে অন্য দেশের সংখ্যালঘুদের যে আশ্রয় দেওয়ার কথা হচ্ছে, আমরা তারও বিরোধী।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy