দুর্ঘটনা কমাতে বাস কর্মীদের ‘সুরক্ষাশ্রী’ পুরস্কার দিল নদিয়া জেলা পুলিশ। শনিবার কৃষ্ণনগরের রবীন্দ্রভবনে পুলিশের একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে জেলার গুরুত্বপূর্ণ ন’টি রুটের ন’জন বাস করে চালক ও তাদের সহকারীদের এই পুরস্কারে সম্মানিত করা হল। সেই সঙ্গে তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও সম্মানিত করা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে নদিয়া জেলা বাস মালিক সমিতি ও বাস কর্মী সংগঠনগুলির কাছ থেকে সেই সব চালকদের তালিকা চাওয়া হয় যাঁরা গত এক বছরে কোনও দুর্ঘটনায় পড়েননি। পাশাপাশি সেই সব সহকারীদের তালিকাও চাওয়া হয় যাঁদের বিরুদ্ধে এক বছরে যাত্রীদের সঙ্গে কোনও দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ নেই। সেই তালিকার ভিত্তিতেই এ দিন পুরস্কারগুলি তুলে দেওয়া হয়।
পুরস্কার পেয়ে খুশি বাসকর্মী ও তাঁদের পরিবারের লোকজনেরা। বাস চালক অরূপ বিশ্বাস বলেন, “এই সম্মান অন্য চালকদেরকেও উৎসাহিত করবে। আমরাও তো চাই যেন একজন মানুষও যেন দুর্ঘটনায় না পড়েন। কোনও চালকই চান না যে তাঁর হাতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটুক, কারও প্রাণ যাক।”
জেলা পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে জেলায় পথ দুর্ঘটনায় ২৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫০৮ জন।
কিন্তু পরিবারের সদস্যদের সম্মানিত করা কেন?
পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, “আসলে পরিবারে শান্তি না থাকলে কোনও কাজই সঠিক ভাবে করা সম্ভব নয়। আমরা মনে করি যে, বাড়িতে শান্তি ছিল বলেই এই সব চালক বা সহকারীরা সারা বছরে সফল ভাবে তাদের কাজটা করতে পেরেছেন। তাই পরিবারের সদস্যদেরও স্বীকৃতি দেওয়া হল।”
নদিয়া জেলা বাস মালিক সমিতির পক্ষে অসীম দত্ত বলেন, “প্রতিদিন যে ভাবে হাজার হাজার মানুষকে বাস চালকরা নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেন তার জন্য তাঁদের এই সম্মানটা প্রাপ্য।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, পুলিশের এই উদ্যোগ বাস শ্রমিকদের আরও উৎসাহিত করবে। তাতে দুর্ঘটনাও কমবে।
জেলার পুলিশ সুপার বলেন, “সব সময় যে বাসকর্মীদের দোষে দুর্ঘটনা ঘটে তা কিন্তু নয়। তবে আমরা চাই বাসকর্মীদের আরও উৎসাহিত করতে। যাঁরা আজ সম্মানিত হলেন তাঁদের দেখে অন্য চালকরাও উৎসাহিত হবেন। হয়ত আরও সতর্ক হবেন, যত্নশীল হবেন। তাতেই নিরাপদ হবে যাত্রা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy