নলকূপে কীটনাশক মিশিয়ে দেওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল নবদ্বীপের কানাইনগর এলাকায়। শনিবার রাতে গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ির নলকূপের হাতল থেকে দড়ি বেঁধে কলের ভিতরে নামিয়ে দেওয়া হয় বিষের পুঁটুলি। ওই সব নলকূপের জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক বালক-সহ দু’জন। তাঁদের বিষ্ণুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিত্সকরা অবশ্য জানিয়েছেন, ওই দু’জনেই এখন বিপন্মুক্ত। কিন্তু কারা নলকূপে বিষের পুঁটুলি ফেললো তা নিয়ে অবশ্য এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ৮টা নাগাদ কানাইনগর দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা ভবেশচন্দ্র বিশ্বাস বাড়ির উঠোনের নলকূপে জল খাওয়ার সময় একটা চেনা ঝাঁঝালো গন্ধ পান। সন্দেহ হওয়ায় ভবেশবাবু বাড়ির সবাইকে ডেকে আনেন। অপেক্ষাকৃত অন্ধকারে থাকা ওই নলকূপের হাতল থেকে দড়ি বেঁধে কলের ভিতরে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে কাপড়ের সেলাই করা ছোট ছোট পুঁটুলি। তার ভিতরে বিষাক্ত কীটনাশক।
ইতিমধ্যে আশপাশের বাড়ি থেকে লোকজনও দেখেন তাঁদের বাড়ির নলকূপেও একই ধরণের পুঁটুলি রয়েছে। এলাকার প্রায় ১৪টি বাড়ির পানীয় জলের নলকূপের ভিতর একই কায়দায় দড়ি বেঁধে বিষের পুঁটুলি নামিয়ে দেওয়া হয়।
জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ভবেশ বাবু এবং নয়ন ভৌমিক নামে একটি ন’বছরের ছেলে।
রাতেই তদন্তে আসে নবদ্বীপ থানার পুলিশ। আইসি তপন কুমার মিশ্র বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে ফোরেট জাতীয় তীব্র গন্ধযুক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষত যে সব নলকূপ অন্ধকার জায়গায় সে গুলিতেই বিষ রাখা হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত হবে।”
রাতেই ঘটনাস্থলে যান নবদ্বীপের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা। তিনি বলেন, “কে বা কারা এ জন্য দায়ী তা খুঁজে বের করতে হবে।” রবিবার দুপুরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্মীরা এসে প্রতিটি নলকূপকে কীটনাশকমুক্ত করে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy