জাকির হোসেন। ফিরছেন শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
আপাতত অনেকটাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় বারের মন্ত্রিসভায় তাঁর আসন একরকম পাকা বলেও মনে করা হচ্ছে। যদিও তাঁর আসনে এ বার ভোট হয়নি। করোনা পরিস্থিতিতে ওই আসনে ১৬ মে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই ভোটও পিছিয়ে গিয়েছে। তবু ছ’মাসের মধ্যেই ওই জঙ্গিপুর আসনে ভোট হবে বলে জাকিরের শুভানুধ্যায়ীরা আশাবাদী। তৃণমূলের অন্দরের খবর, ভোট হলে জয় জাকিরের কেবল সময়ের অপেক্ষা। তবে তার মধ্যেই মন্ত্রিসভায় তিনি নিজের আসন ফিরে পেতে পারেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
শুক্রবার হেলিকপ্টারে তালাইয়ে এমডিআই হেলিপ্যাডে নামবেন তিনি। সেখান থেকে তাঁর রঘুনাথগঞ্জের বাড়িতে কিছুক্ষণ কাটিয়ে কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে দেখা করে বিকেলেই অরঙ্গাবাদের বাড়িতে ফিরে যাবেন। তবে চিকিৎসকেরা বার বার সতর্ক করে দিয়েছেন করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে। কারণ এর আগেই জাকিরের বাইপাস সার্জারি হয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে নিমতিতা রেল স্টেশনে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন মন্ত্রী জাকির হোসেন সহ ২৭ জন। মন্ত্রীর বাঁ পা বিস্ফোরণে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেদিন ভোর রাতেই জাকিরকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই থেকে টানা ওই হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছিল তার। মাঝে জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে মনোনয়ন পত্র দাখিলের জন্য দিন পাঁচেকের ছুটিতে বাড়ি আসেন। পরে ফের হাসপাতালে ফিরে যান।
৮টি ছোট বড় অপারেশনের পর বাঁ পা’য়ে আঁটা ইন্টারন্যাল ফিক্সেসন সাপোর্ট বর্তমানে খুলে দেওয়া হয়েছে। পরিয়ে দেওয়া হয়েছে এক বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল জুতো। যদিও এখনও তাতে স্বাভাবিক ভাবে চলা ফেরা করতে পারবেন না জাকির। চিকিৎসকরা যথেষ্ট বিধি নিষেধ মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে রক্ষা এটাই ইতিমধ্যেই করোনা পরিস্থিতির কারণে জঙ্গিপুরের বিধানসভা নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জাকির ঘনিষ্ট জেলার তৃণমূল মুখপাত্র গৌতম ঘোষ জানান, অনেকটাই সুস্থ এখন তিনি। তবে চলা ফেরা স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। মানসিক দিক দিয়ে যথেষ্ট শক্ত থাকায় এবং চিকিৎসায় সাড়া দেওয়ায় একের পর এক অপারেশনের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন তিনি। তবে মুর্শিদাবাদে বাড়ি ফিরলেও চিকিৎসকদের নজরদারিতে থাকতে হবে তাকে এখনও।
তা ছাড়া করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। তাই লোকজনের সঙ্গে মেলামেশাও যাতে সীমিত থাকে তা দেখতে বলা হয়েছে পরিবারের লোকজনকে।
বাড়ি থেকে বাইরে বেরোনো যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তাও দেখতে বলা হয়েছে। জাকিরের রাজনৈতিক সহকর্মী ও জঙ্গিপুরে তার নির্বাচনী পরিচালক মন্টু রহমান বলছেন, “যেভাবে বিস্ফোরণে ক্ষতি হয়েছিল পায়ের তাতে আরও বড় কিছু ঘটতে পারত। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর তদারকি ও চিকিৎসকদের তৎপরতায় বিপদ কাটানো গিয়েছে। আড়াই মাসের চিকিৎসার ধকল কাটিয়ে বাড়ি ফিরছেন। তবে বাড়ি থেকে বেরোনো যাবে না। মেলামেশাও দূরত্ব বিধি মেনে। সামনের সপ্তাহে ইদ। সেই সময় ঘরে ফিরে আসায় স্বভাবতই খুশি সকলেই।”
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা নাগাদ মুর্শিদাবাদের নিমতিতা রেল স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের উপর বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। ট্রেন ধরতে যাওয়ার পথে জাকির সহ ২৭ জন আহত হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy