পথে: অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে মিছিল। নিজস্ব চিত্র
বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছিল রাজপথে দেহ রেখেই প্রতিবাদ। শুক্রবার পথে নেমেছিল এলাকার হাজার হাজার মানুষ। সোমবার, এলাকার মহিলা সেই ব্যাটন তুলে নিলেন হাতে। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ হাঁটলেন সাহেবনগরের কয়েক হাজার মহিলা। দাবি, সাহেবনগর কাণ্ডে অভিযুক্ত তহিরুদ্দিন ও তার দলবলকে গ্রেফতার করতে হবে। সোমবার মিছিল থেকে জোরালো আওয়াজ উঠেছে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের এবং কঠোর শাস্তির। অন্য দিকে সোমবার পর্যন্ত মূল অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে সাহেবনগরে। নাগরিক মঞ্চের দাবি, মূল অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাবে তারা।
মহিলাদের এককভাবে মিছিলে হাঁটতে এর আগে কখনও দেখেনি সাহেবনগর। ফলে এ দিনের মিছিল এক অন্য মাত্রা পেয়েছিল, ৭০ বছরের রওশনারা সঙ্গে নিয়ে এসেছিল সাত বছরের নাতনি মমতা খাতুনকে। মাঝ বয়সী মতিয়া পারভীন সন্তানকে কোলে নিয়ে হেঁটেছেন পাঁচ কিমি পথ। এখানেই শেষ নয়, লাঠি হাতে বৃদ্ধা মহিলাদের দেখা গিয়েছে কিছু পথ হাটতে। তাঁদের দাবি, শাসকদল আর পুলিশ যতই আড়াল করুক তহিরুদ্দিন ও তার দলবলকে। পিছু হটতে রাজি নয় সাহেবনগর। তাদের দাবি, যত সময় নষ্ট করবে পুলিশ আন্দোলন ততই মজবুত হবে আমাদের।
এ দিন বিকেলে মিছিল শুরু হয়েছিল সাহেবনগর বাজার থেকে। ধনিরামপুর বাজারে ঠিক আগে থেকেই মিছিল ঘুরে পৌঁছয় দেবীপুরে মোড়ে। সেখানে পৌঁছে গর্জে ওঠেন মহিলারা, দাবি, দিনের আলোয় সবার চোখের সামনে নিরীহ মানুষদের মারল একদল দুষ্কৃতী, আর পুলিশ কেবলমাত্র দু’জনকে গ্রেফতার করেই হাত ধুয়ে ফেলেছে ওই ঘটনায়। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তহিরুদ্দিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তার খোঁজ মিলছে না বলে সময় লাগছে। তবে কিছু দিনের মধ্যেই তাকে গ্রেফতার করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy