মৃতা মৌসুমী সরকার। —নিজস্ব চিত্র।
দু’দিন ধরে ধুম জ্বর ছিল। কিছুতেই জ্বর কমছিল না। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল মহিলাকে। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘অজানা জ্বরে’ মৃত্যু হয়েছে ওই যুবতীর। যদিও তা মানতে নারাজ মৃতার পরিবার। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে পরিবার। তাদের অভিযোগ, জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেও রক্ত পরীক্ষা করানো হয়নি। আদতে ডেঙ্গি হয়েছিল মৌসুমী সরকার নামে ওই মহিলার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শান্তিপুর রামকৃষ্ণ কলোনির রামনাথ তর্করত্ন রোড এলাকায় মৌসুমীর বাড়ি। ৪৫ বছর বয়সি ওই মহিলার বিয়ে হয়েছিল চাকদহতে। শনিবার তীব্র জ্বর নিয়ে বাপের বাড়িতে আসেন ওই মহিলা। পরিবারের লোকজন তাঁকে শান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি করান। সোমবার রাতে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। তখন ওই রোগিণীকে অন্যত্র স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড়ের মধ্যে মঙ্গলবার মৃত্যু হয় ওই মহিলার। তার পরেই হাসপাতালের দিকে আঙুল তুলেছে মৃতার পরিবার। মৌসুমীর এক আত্মীয়ার কথায়, ‘‘সঠিক সময়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেও কেন রোগ নির্ণয় করা গেল না?’’ তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, নির্দিষ্ট প্রোটোকল মেনেই চিকিৎসা চলছিল। রোগীর পরিবারের দাবি মতো ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কথা অস্বীকার করেছেন শান্তিপুর হাসপাতালের সুপার তারক বর্মণ। তিনি বলেন, “জ্বর এবং মানসিক দুর্বলতার কারণে হয়তো এই ঘটনা ঘটেছে। ডেঙ্গি সংক্রমণের কোনও প্রমাণ পাইনি। রক্ত পরীক্ষা করা হয়নি। তাই ওই মহিলা আক্রান্ত ছিলেন কি না, সেটা বলা যাবে না।”
মৃতার আর এক আত্মীয় সন্দীপ সরকারের দাবি, “জ্বর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে আনা হয়েছিল রোগীকে। তা হলে রক্ত পরীক্ষা কেন করেনি হাসপাতাল? রোগ নির্ণয়ের চেষ্টাই তো করল না, চিকিৎসা আর কী হবে! আমরা নিশ্চিত যে, ওর (মৌসুমী) ডেঙ্গি হয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy