Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
শান্তিপুর: রাস্তা
West Bengal Municipal Election 2020

নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে দৌড় ভারী ট্রাকের

দুয়ারে পুরভোট। কী চেয়েছি আর কী পাইনি, তার হিসেব মেলানোর পালা। কোথাও রাস্তা বেহাল, কোথাও ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে জল থইথই, কোথাও বিরোধী দলের এলাকা উপেক্ষিত। সব মিলিয়ে কেমন আছে শহর? ঘুরে দেখছে আনন্দবাজার।দুয়ারে পুরভোট। কী চেয়েছি আর কী পাইনি, তার হিসেব মেলানোর পালা। কোথাও রাস্তা বেহাল, কোথাও ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে জল থইথই, কোথাও বিরোধী দলের এলাকা উপেক্ষিত। সব মিলিয়ে কেমন আছে শহর? ঘুরে দেখছে আনন্দবাজার।

পুর এলাকার রাস্তা। শান্তিপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। নিজস্ব চিত্র

পুর এলাকার রাস্তা। শান্তিপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। নিজস্ব চিত্র

সম্রাট চন্দ
শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২০ ০০:৫৫
Share: Save:

রাস্তায় পিচ পড়তে দেখে আশায় বুক বেঁধেছিলেন ২৪ নম্বর ওয়ার্ড। কিন্তু কোনও এক কারণে খানিক কাজ হওয়ার পর আর এগোয়নি। বাকি রাস্তা সেই ইটের। রাস্তার এমন দশা দেখে ক্ষোভ লুকিয়ে রাখতে পারেননি ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশ। জানালেন, নামেই পুরসভা। ওয়ার্ডের প্রধান রাস্তা যদি এমন হয়, তবে বাকি রাস্তার হাল কী, সহজেই অনুমেয়। শহরের প্রান্তিক এলাকা বলেই হয়তো পুরসভার নজর কাড়তে পারেনি ওই ওয়ার্ড।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানান, শুধু ২৪ নম্বর ওয়ার্ড নয় শান্তিপুর শহরের অনেক অনেক ওয়ার্ড রয়েছে, যেখানে রাস্তায় পিচ পড়েনি। কিছু রাস্তা আবার সংস্কার করা হয়নি। এমনিতেই নিকাশি বেহাল। রাস্তার হাল এমন হওয়ায় বর্ষা এলে ভোগান্তি এক লাফে কয়েক গুণ বাড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাজপুতপাড়া থেকে যে রাস্তা মোতিগঞ্জ-নৃসিংহপুর ঘাট রোডে গিয়ে মিশেছে সেই রাস্তার প্রায় ১০০ মিটার এখনও কাঁচা। স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল দত্ত বলেন, ‘‘অনেক দিন ধরেই এই রাস্তা কাঁচা। বর্ষাকালে চলাফেরা করতে সমস্যা হয়।’’ ১১ নম্বর ওয়ার্ডের হামিদিয়া লেন, দাদ্দে ছুতোরপাড়া এলাকায় পাকা রাস্তায় সংস্কারের অভাব স্পষ্ট। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডিএন রায় রোড এলাকায় কিছু জায়গায় রাস্তা এবড়ো-খেবড়ো। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি রাস্তাও খারাপ। আবার বেশ কিছু জায়গায় রয়ে গিয়েছে ইটের রাস্তা। কংক্রিট বা পিচের রাস্তা না হওয়ায় ভুগতে হয় মানু‌ষের। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনপাড়ার পার্থ শিল, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ১ নম্বর শান্তিগড় কলোনির কৃষ্ণ দেবনাথ, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সুত্রাগড় মাঠপাড়ার বাবলু বিশ্বাসেরা বলেন, ‘‘আমাদের এলাকায় ইটের রাস্তা রয়েছে। পাড়ার মধ্যে বহু মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। বর্ষাকালে সমস্যা হয়। অন্তত কংক্রিটের রাস্তা হলেও ভাল হয়।’’

পুরকর্তাদের অবশ্য দাবি, পুরসভার জায়গায় যে রাস্তা রয়েছে সেগুলো কংক্রিট করা হয়েছে। বাকি কিছু জায়গায় পরে বসতি হয়েছে। সেখানে বেসরকারি জায়গা রয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে বেসরকারি জায়গায় কংক্রিটের রাস্তা করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অনেক জায়গায় পুরনো পিচের রাস্তার সংস্কার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ২৮টি পাকা রাস্তা সংস্কার হয়েছে বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের।

রাস্তায় ভারী যানবাহন চলাচল নিয়েও অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের। তাঁরা জানান, নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অবাধে ছুটছে পণ্যবাহী ট্রাক-লরি। তাদের আটকানোর কোনও ব্যবস্থা নেই। সে কারণে তাঁদের ভুগতে হয়। পণ্যবাহী লরি যাতায়াত করে শহরের কেসি দাস রোড, হরিপুর স্ট্রিটের মতো জায়গায়। এই এলাকায় পণ্যবাহী ভারী যান চলাচল আগেই নিষিদ্ধ করেছে পুর কর্তৃপক্ষ। ওজনও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তবুও ভারী যান চলছেই। আবার স্টেশনের কাছে, ডাকঘর মোড়ের কাছে নেতাজি মূর্তি লাগোয়া এলাকায় যানজটের সমস্যায় নাজেহাল হতে হয় মানুষকে।

পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, নিষেধাজ্ঞা রয়েছে আগেই। ভারী যানের কারণে যানজটের পাশাপাশি রাস্তা, নিকাশি নালা, পাইপের ক্ষতি হচ্ছে। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে। পুরকর্তাদের দাবি, স্টেশনের কাছে একটি বাইপাস রাস্তা করা হয়েছে আগেই এই যানজটের সমস্যা দূর করতে। অন্যত্রও যান নিয়ন্ত্রণে জোর দেওয়ার জন্য পুলিশের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

West Bengal Municipal Election 2020 Shantipur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE