পুড়ছে বাড়ি। ডান দিকে, সংঘর্ষের পর গ্রামে পুলিশের টহল। শনিবার শান্তিপুরের নৃসিংহপুরে। ছবি: প্রণব দেবনাথ
সেতুর জন্য অধিগৃহিত জমির টাকার ভাগ ও স্থানীয় একটি খেলার মাঠের জল নিকাশিকে কেন্দ্র করে শনিবার তুমুল সংঘর্ষ হয় শান্তিপুরের সাহেবডাঙা এলাকায়। ব্যাপক বোমাবাজি চলে। একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী।
এলাকার দুই পাড়ার মধ্যে আগে থেকেই বিবাদ চলছিল। আগেও এলাকায় বোমাবাজি হয়। শনিবার সকাল থেকে ফের বোমাবাজি শুরু হল শান্তিপুর থানার হরিপুর পঞ্চায়েতের সাহেবডাঙা এলাকায়। কয়েকটি বাড়িতে মজুত পাটকাঠির গাদায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই আগুনে বাড়ির একাংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে দমকলও যায়। অভিযোগ, কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা হান্নান মল্লিক, আমজেদ মল্লিক, মান্নান মল্লিক, মিজানুর মল্লিকের বাড়িও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এঁদের মধ্যে মিজানুর মল্লিক সিপিএমের শান্তিপুর এরিয়া কমিটির সদস্য। স্থানীয় সূত্রের দাবি, ভাগীরথী নদীর ওপরে একটি সেতু তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ বাবদ প্রাপ্য টাকার ভাগ নিয়ে সমস্যা রয়েছে।
স্থানীয় একটি খেলার মাঠের দখলদারি ও জলনিকাশি নিয়েও এলাকার দুই গ্রামের মধ্যে আগে থেকেই বিবাদ রয়েছে। সেই বিবাদের জেরেও এই অশান্তি বলে দাবি করেছেন অনেকে। স্থানীয় হরিপুর পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের শোভা মণ্ডল সরকার বলেন, “মাঠের জল নিকাশির জন্য কালভার্ট তৈরি হবে। তবে যতদূর শুনেছি, এটা পারিবারিক বিবাদের জেরে হয়েছে।”
সিপিএমের শান্তিপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সৌমেন মাহাতো বলেন, “শান্তিপুরে তৃণমূলের বিধায়ক এবং পুর প্রশাসকের শিবিরের এলাকা দখলের লড়াইয়ের জন্য শান্তিপুরে বারবার অশান্তি ছড়াচ্ছে।”
গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি অবশ্য অস্বীকার করেছেন শান্তিপুরের পুর-প্রশাসক অজয় দে। বলেছেন, “এখানে গোষ্ঠীবাজীর কোনও ব্যাপার নেই। আমি শান্তির পক্ষে।” একাধিক বার ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। এ দিকে, শনিবার সকালেই শান্তিপুর শহরের গোডাউন মাঠ এলাকা থেকে চারটি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy