উৎপল বেহরা। —ফাইল চিত্র
পরনে আকাশি রঙের টি-শার্ট ও ধূসর থ্রি-কোয়ার্টার ট্রাউজার্স। পায়ে হাওয়াই চটি। গালে ক’দিনের না কামানো দাড়ি। ভাবলেশহীন মুখ। জিয়াগঞ্জ-কাণ্ডে অভিযুক্ত উৎপল বেহেরাকে বুধবার দুপুরে পুলিশ লালবাগ আদালতে হাজির করেছিল গোপন জবানবন্দি নিতে। অভিযুক্তকে মুখ না ঢেকেই আনা হয়েছিল। আদালত চত্বরে তখন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ। তিনজনকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত উৎপলকে দেখতে পেয়ে প্রথমে চাপা ফিসফাস। তারপর তাকে দেখতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
এদিন উৎপলের পাশাপাশি গোপন জবানবন্দি নিতে আদালতে আনা হয়েছিল নিহত বন্ধুপ্রকাশ পালের বাড়ির পরিচারিকা সুনীতা দাস এবং দুধওয়ালা রাজীব দাসকেও। সুনীতা ও রাজীবের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হলেও উৎপলের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি। জিয়াগঞ্জের শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ, তাঁর স্ত্রী বিউটি এবং ছেলে অঙ্গনকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত উৎপলের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছিল মঙ্গলবার। ওইদিন তাকে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে হাজির করানোর কথা ছিল। কিন্তু আদালত ছুটি থাকায় উৎপলকে অ্যাডিশনাল জেএম মহম্মদ তারিক ফিরদৌসের এজলাসে হাজির করে পুলিশ। আদালত সূত্রের খবর, বিচারক উৎপলের কাছে জানতে চান পুলিশি হেফাজতে তাঁর ওপর কোনও শারীরিক বা মানসিক অত্যাচার হয়েছে কি না। উৎপল তাতে মাথা নাড়ে। এর পর অভিযুক্তের কিছু বলার আছে কি না বিচারক জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে কোনও কথাই বলতে চায়নি ওই যুবক। পরে অবশ্য সে বলে, ‘‘সময় হোক, সবই বলব।’’
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার পুলিশ আদালতে মোট চারটি আবেদন করেছে। সেগুলি হল— নিহত শিক্ষকের বাড়ির পরিচারিকা, দুধওয়ালা রাজীব এবং উৎপলের গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করা, রাজীবকে দিয়ে অভিযুক্তের শনাক্তকরণ, উৎপলের হাত ও পায়ের ছাপ নেওয়া। পাশাপাশি, খুনের ঘটনার দিন রাস্তার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে যে উৎপলকে দেখা গিয়েছিল, সেই সব ফুটেজ খতিয়ে দেখারও আবেদন করা হয়। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার উৎপলকে চোদ্দো দিনের জেল হেফাজতে পাঠান বিচারক।
প্রসঙ্গত, এদিন সুনীতা ও রাজীবের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। তবে উপলের গোপন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy