ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের রহস্যমৃত্যু। প্রতীকী চিত্র।
মাসখানেক পর স্থির হয়েছে মেয়ের বিয়ে। এর মাঝেই শনিবার রাতে বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের দেহ। এই রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে কৃষ্ণনগরের পাত্রবাজার এলাকায় একটি বাড়ির বন্ধ ঘরের ভিতর ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায় ওই ম্যানেজারকে। তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই ম্যানেজারের নাম অজয়কুমার সরকার (৪৫)। তাঁর বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে। তিনি নদিয়ার বেথুয়াডহরির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। কৃষ্ণনগরে একটি বহুতল আবাসনের চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকতেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে নিয়মমাফিক ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন অজয়। ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, সারা দিনে বেশ কয়েক বার ফোনে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে শোনা যায় অজয়কে। অজয়ের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসখানেক পর তাঁর একমাত্র কন্যার বিয়ে স্থির হয়েছে। তার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অজয়। তাঁর পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মেয়ের বিয়ের জন্য কয়েক জন পরিচিতের টাকাও ধার করেছিলেন তিনি। শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ দিকে ব্যাঙ্কের কাজ সেরে ভাড়াবাড়িতে পৌঁছেছিলেন অজয়। রাত ৮টা নাগাদ অন্যান্য আবাসিকরা জানালার ফাঁক দিয়ে অজয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। এর পর বিষয়টি জানানো হয় পুলিশকে। কিছু ক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার পুলিশ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। পুলিশকর্মীরা দেখতে পান, অজয় সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন। তার গলায় ঝুলছে ব্যাঙ্কের পরিচয়পত্রও। ওই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অজয়ের আত্মীয় আশিস সরকার বলেন, ‘‘দেখে মনে হচ্ছে এটা আত্মহত্যা নয় খুন। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পেলে আমরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করব।’’
মৃতের ফোন খতিয়ে দেখাছে পুলিশ। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) সঞ্জয় কুমার মাকওয়ান বলেন, ‘‘দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy