ধীর গতিতে চলছে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ। সোমবার রানাঘাটে। ছবি সুদেব দাস।
ঠিক সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে মিলছে না ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই। ফলে নতুন বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহেও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শেষ করা নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
গচ বছর ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যেই রানাঘাটে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শেষ করার কথা জানিয়েছিলেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। পরে সেই সময়সীমা এ বছরের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। যদিও তাতেও কাজ শেষ হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে। বার বার কাজ শেষ করার সময়সীমা পিছোনোয় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা থেকে যান চালকেরা।
রানাঘাটে আঁইশতলা মোড় থেকে মিশন গেট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তায় এক দিকে চলছে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ। সঙ্গে তিনটি উড়ালপুল ও চূর্ণী নদীর উপর নতুন সেতু নির্মাণের কাজও চলছে। ফলে সকাল থেকে সন্ধ্যা এই দেড় কিলোমিটার পথ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে থাকছে। সঙ্কীর্ণ পথেই চলাচল করছে বড়-বড় পণ্যবাহী যান। কোর্ট মোড় ও প্রামাণিক মোড় এলাকায় রাস্তার পাশেই কার্যত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দূরপাল্লার বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকছেন যাত্রীরা। সব সময় ধূলোয় এলাকা ঢেকে থাকছে। জাতীয় সড়ক আবার রানাঘাট শহরকে আড়াআড়ি বিভক্ত করেছে। ফলে প্রতি দিনই শহরের বাসিন্দাদের রাস্তা পারাপার করতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাট ছাড়াও চাকদহ থেকে জাগুলি পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত ভাবে সড়কের বেশ কিছু জায়গায় কাজ বাকি আছে। একটি সংস্থাকে কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। তারাই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ছাই নিয়ে আসছে। সেই ছাই নিচু জায়গা ভরাট করতে ও উড়ালপুল তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
কেন সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা যাচ্ছে না?
জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের নদিয়া জেলা প্রকল্প ম্যানেজার দীনেশকুমার সিংহ বলেন, "উড়ালপুল নির্মাণের জন্য ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যে ছাই নিয়ে আসার কথা, তা সময় মত পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে না। সে কারণে কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত কাজ সম্পূর্ণ করতে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy