ট্যাবের টাকা সরানোর ঘটনায় আরও গ্রেফতারি। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ট্যাব কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে মালদহ জেলার পুলিশের কাছ থেকে এক ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে নিল নদিয়ার পুলিশ। নদিয়ার কালীগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। জানা গিয়েছে, টাকার বিনিময়ে বেশ কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ভাড়া’ নিয়েছিলেন অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতের নাম মোবারক হোসেন। বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরে। বস্তুত, উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকেই ট্যাব কেলেঙ্কারির পুরো নকশা তৈরি হয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। ২৩ বছর বয়সি মোবারককে প্রথমে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। এত দিন তিনি মালদহের জেলে ছিলেন। নদিয়ার একটি স্কুলের পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা গায়েবের ঘটনায় কালীগঞ্জ থানার পুলিশ তাঁকে চার দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছে।
কালীগঞ্জ ব্লকের হাতগাছা পঞ্চায়েতের বসোরখোলা হাই স্কুলে ২০ জন পড়ুয়া ট্যাবের টাকা পাননি। ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের সেই টাকা অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যায় বলে অভিযোগ। ওই স্কুলের তরফে কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হওয়ার পর চার পড়ুয়া তাঁদের ট্যাবের টাকা পেয়েছেন। বাকি ১৬ জনের ট্যাবের টাকা এখনও উদ্ধার করা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছিল, ওই সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বেশিরভাগই অন্য জেলার। সেই মতো কালীগঞ্জ থানার পুলিশ সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মালিকদের নোটিস পাঠায়। তাঁদের থানায় ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখান থেকে উঠে আসে মোবারকের নাম। জানা যায়, ওই যুবক অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে কয়েক জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ভাড়া’ নেন। ওই সমস্ত অ্যাকাউন্টে পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা ‘ট্রান্সফার’ করে পরে তা তুলে নেন। কত টাকার বিনিময়ে তিনি ওই সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়েছিলেন, তা জানতে মোবারককে জেরা করছে পুলিশ।
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার উত্তম কুমার ঘোষ বলেন, ‘‘ট্যাব কেলেঙ্কারিতে এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল মালদহ জেলার পুলিশ। কালীগঞ্জ থানার পুলিস তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy