মহারাষ্ট্রের এক তরুণের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলা খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় যে অভিযুক্তের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ইন্ধন রয়েছে, তা প্রমাণিত হওয়া জরুরি। শুক্রবার এক মামলার শুনানিতে এ কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ঘটনাচক্রে, শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ এমন একটি সময়ে এসেছে, যখন বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী অতুল সুভাষের আত্মহত্যার মামলা ঘিরে তোলপাড় হচ্ছে গোটা দেশ।
স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল মহরাষ্ট্রের এক তরুণ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। ওই তরুণ, তাঁর পিতা এবং ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। সেই মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রথমে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেখানে আর্জি খারিজ হয়ে যায়। পরে বম্বে হাই কোর্টেও মামলা থেকে নিষ্কৃতি পাননি অভিযুক্তেরা। আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা খারিজের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। শুক্রবার বিচারপতি বিআর গভই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। নিম্ন আদালত, উচ্চ আদালত হয়ে শেষে শীর্ষ আদালতে মামলা থেকে নিষ্কৃতি পান অভিযুক্তেরা।
অভিযুক্তদের মামলা থেকে নিষ্কৃতি দেওয়ার সময়ে দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার ক্ষেত্রে এমন কোনও প্রামাণ্য নথি প্রয়োজন, যা অভিযুক্তের কোনও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ উস্কানির দিকে ইঙ্গিত করে। পাশাপাশি আত্মহত্যার ঘটনার কত দিন আগে ওই উস্কানি দেওয়া হয়েছিল, সেটিও বিবেচনা করা প্রয়োজন। দু’টি ঘটনার মধ্যে ব্যবধান খুব বেশি হওয়া চলবে না বলেও পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের। মহারাষ্ট্রের এই মামলার ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তেমন প্রামাণ্য নথির পাওয়া যায়নি বলে মনে করছে আদালত।
সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী অতুলের আত্মহত্যা ঘিরে বিতর্ক ছড়িয়েছে। স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। মিলেছে ২৪ পাতার একটি সুইসাইড নোট এবং একটি দীর্ঘ ভিডিয়ো রেকর্ডিং। সেই মামলার তদন্তে ইতিমধ্যে অতুলের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া, তাঁর মা এবং ভাইকে গ্রেফতার করেছে বেঙ্গালুরুর পুলিশ। নাতিকে নিজের কাছে রাখার আবেদন জানিয়ে শুক্রবার অতুলের মা-ও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে ওই শিশুর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সে কার কাছে আছে, কেউ জানে না। সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়ে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং কর্নাটক সরকারকে নোটিস দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy