ভিড়। নিজস্ব চিত্র।
জাঁকিয়ে শীত পড়তেই ফিরল চেনা ছবি। রবিবার পর্যটকের ভিড় ভাঙল হাজারদুয়ারি-সহ জেলার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে। জেলার পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই যা দেখে বলাবলি করেছেন, এক বছর পর এত সংখ্যক পর্যটকের একদিনে পা পড়ল জেলায়।
ঠিক এক বছর আগে এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়েছিল দেশের অন্য কয়েকটি জায়গার সঙ্গে মুর্শিদাবাদেও। ওই বিক্ষোভের জেরে ক্ষতির মুখে পড়েছিল এই জেলার পর্যটন শিল্প। তারপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ওঠার মুখেই দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকে। তার ফলে লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায় হাজারদুয়ারি-সহ যাবতীয় পর্যটনকেন্দ্র। আনলক পর্বে পর্যটনকেন্দ্রগুলি খুললেও সে ভাবে পর্যটক আসছিলেন না।
শুক্রবার থেকে শীত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আর কিছুটা হলেও চেনা ছবি ফিরছে পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে। এদিন সকাল থেকেই কার্যত তিলধারণের জায়গা ছিল না হাজারদুয়ারি চত্বরে। একই ভিড় লালবাগের অন্য পর্যটনকেন্দ্রগুলিতেও। যা দেখে হাসি চওড়া হয়েছে শহরের পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত সকলেরই। যদিও অন্যদিনের মতো এদিনও হাজারদুয়ারি প্যালেস মিউজ়িয়ামের টিকিট না মেলায় হতাশ হয়েই ফিরতে হয়েছে কয়েক হাজার পর্যটককে। সূত্রের খবর, প্রতি বছর দুর্গাপুজোর পর থেকেই লালবাগ শহরে পর্যটক মরসুম শুরু হয়ে যায়। কিন্তু গত বছর এনআরসি বিরোধী গোলমালে পর্যটকের আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারপর লকডাউনে রুজি হারান অনেকেই। পরবর্তী কালে তাঁরা অনেকেই অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। তবে দুর্গাপুজোর পর থেকেই আস্তে আস্তে লালবাগে আসতে শুরু করে পর্যটকরা। আর তাতেই ফের আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছিল গোটা লালবাগ শহর। তবে সেই ভিড়ের চিত্র ফিরছিল না। তবে এদিন ফিরেছে। প্রায় ২৫টি বাস, কয়েকশো ছোট গাড়িতে পর্যটকরা এসেছেন শহরে। এছাড়া, ট্রেনেও প্রচুর পর্যটক এসেছিলেন। শহরের পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত সকলেরই আশা, ২৫ ডিসেম্বর থেকে ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ভালই ভিড় হবে।
মুর্শিদাবাদ টাঙ্গা ইউনিয়নের সম্পাদক মনু শেখ বলেন, ‘‘আজ পর্যটকের ভিড় ভেঙেছে শহরে। বহুদিন পর এমন ভিড় দেখে ভাল লাগছে। গত কয়েক মাস আমাদের যে কী ভাবে সংসার চলেছে, তা আমরাই জানি। আজ পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত সকলের মুখেই হাসি ফুটেছে।’’ মুর্শিদাবাদ সিটি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ভোর থেকেই একের পর এক পর্যটকদের বাস ঢুকছিল। তখনই বুঝতে পারি, অনেক দিন পর আজ বোধহয় সেই পুরনো ভিড় দেখতে পাব পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে। বেলা বাড়তেই সংখ্যাটা কয়েক হাজারে গিয়ে পৌঁছয়। সামনেই ক্রিসমাস। এই ভিড় সেই সময় দেখা যাবে বলেই আমরা আশা করছি।’’ মুর্শিদাবাদ পুরসভার প্রশাসক বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, ‘‘লালবাগের বহু মানুষ পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। শূন্যতা কাটিয়ে শহরে পর্যটকের ঢল নেমেছে। তাতে সকলেরই মুখে হাসি। পর্যটকদের পরিষেবাকেন্দ্রিক কোনও অসুবিধে যাতে না হয়, তা দেখতে পুরসভা প্রস্তুত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy