ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগে। রানাঘাট কলেজে। নিজস্ব চিত্র।
অকাল বোধন পার করে আজ অকাল ভোট শান্তিপুরে।
রাজনৈতিক টানাপড়েন, হরেক দাবি, অভিযোগ, আশ্বাস আর না মেটা সমস্যা— ভাগীরথীর ভাঙন, তাঁতশিল্পের সমস্যা, আরও নানা পাওয়া-না পাওয়ার ফয়সালা হবে আজ, শনিবার ইভিএমে। প্রশাসনের কাছে চ্যালেঞ্জ দুটো— এক) শান্তিতে ভোটপর্ব মেটানো। দুই) কোভিড বিধি অক্ষুণ্ণ রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিরাপদে ভোট করানো। তার জন্য ইতিমধ্যে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে শান্তিপুরকে।
চার মাস আগে রাজ্যের বাকি সব বিধানসভা কেন্দ্রের মত ভোট হয়েছিল শান্তিপুরেও। সেই ভোটে জিতেও বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তার জেরেই এই উপনির্বাচন। উৎসবের মরশুমে এই ভোট ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়েছে ইতিমধ্যেই। সব দলেরই শীর্ষ স্তরের একাধিক নেতা এসে সভা করে গিয়েছেন। প্রচার পর্বের সেই উত্তেজনা যাতে ভোটের দিন আরও এক কাঠি চড়ে শান্তিভঙ্গের কারণ না হয়, সেই দিকেই নজর থাকবে পুলিশ ও প্রশাসনের।
কর্তারা জানাচ্ছেন, যে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশ মোতায়েন থাকছে, তারা কার্যত গোটা কেন্দ্রেই ছড়িয়ে থাকবে। স্পর্শকাতর হোক বা না হোক, সব বুথেই হাজির থাকবে আধা সেনা। বুথ পিছু যথারীতি চার জন করে ভোটকর্মী হাজির থাকবেন।
গ্রাম এবং শহর মিলিয়েই শান্তিপুর বিধানসভা এলাকা। এক মধ্যে ২৪ ওয়ার্ডের শান্তিপুর পুর এলাকা যেমন রয়েছে, সেই সঙ্গে রয়েছে শান্তিপুর ব্লকের ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। শান্তিপুর ব্লকের বাকি চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত পড়ে রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের মধ্যে। আবার অন্য দিকে রয়েছে কোতোয়ালি থানার এলাকা যা কৃষ্ণনগর দক্ষিণ কেন্দ্রের অন্তর্গত। ভাগীরথীর ও পারে এক দিকে হুগলি এবং অন্য দিকে পূর্ব বর্ধমান জেলা। ফলে নির্বাচনের সময়ে বিধানসভা এলাকার ধার ঘেঁষে সেই সব এলাকায় কড়া নজর থাকবে প্রশাসনের। রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার সায়ক দাস বলেন, “কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। সর্বত্রই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।”
কোভিড বিধি মেনে ভোট করানো এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। বিগত ভোটেও সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়েছে প্রশাসনকে, ফলে একপ্রস্ত অভিজ্ঞতাও হয়ে গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে জারি থাকছে ১৪৪ ধারা। ভোটকেন্দ্রে থাকবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। থার্মাল গান দিয়ে বুথে আসা ভোটারদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। বুথে স্যানিটাইজ়ার, মাস্ক, গ্লাভস ইত্যাদিও থাকবে। ভোটকেন্দ্রে পারস্পরিক দূরত্ববিধি এবং মাস্কের ব্যবহারের দিকে কড়া নজর রাখা হবে।
নদিয়ার জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি বলেন, “কোভিড বিধি মেনে সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করাতে প্রশাসন প্রস্তুত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy