—প্রতীকী চিত্র।
মাছ ব্যবসায়ীকে গুলি করার ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল নদিয়ার কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম সৈকত হালদার এবং কুণাল হালদার ওরফে টুবাই। এঁদের মধ্যে কুণাল তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতা। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার গভীর রাতে কৃষ্ণনগর শহরতলি থেকে এই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার তাঁদের হাজির করানো হয় আদালতে।
কৃষ্ণনগরের নগেন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা সমীর ঘোষ এবং বিশ্বনাথ ঘোষ দুই ভাই মিলে মাছের ব্যবসা করেন। কৃষ্ণনগর গোয়ারিবাজার থেকে মাছ কিনে পাত্রবাজারে বিক্রি করেন তাঁরা। শুক্রবার সকালে তাঁরা গোয়ারিবাজারের মাছের আড়তে মাছ কিনতে গিয়েছিলেন দুই ভাই। অভিযোগ, সেখানে কুণাল তাঁদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। তোলা দিতে অস্বীকার করেন বিশ্বনাথবাবু। তখন তাঁকে পিস্তল বার করে ভয় দেখানো হয়। কুণাল তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতা বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। তাঁর ছোড়া একটি গুলি লাগে বিশ্বনাথের পায়ে। বিশ্বনাথকে বাঁচাতে গেলে তাঁর ভাইকেও গুলি করা হয়েছিল। যদিও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় সেই গুলি। কিন্তু গুলিতে আহত বিশ্বনাথের মাথায় পিস্তলের বাট দিয়ে আঘাত করা হয়। সব মিলে মোট চার রাউন্ড গুলি করেন কুণাল এবং তাঁর সঙ্গীরা।
বিশ্বনাথ এবং তাঁর ভাইয়ের চিৎকার এবং গুলির আওয়াজে ওই বাজারের অন্যান্য মাছ ব্যবসায়ী ছুটে আসায় পালিয়ে যান অভিযুক্তেরা। রক্তাক্ত অবস্থায় বিশ্বনাথকে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও ওই হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। গুলি চলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। হাসপাতালে গিয়ে দুই মাছ ব্যবসায়ীর সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ কথা বলেন তদন্তকারীরা। ঘটনার বিবরণ শোনার পর অভিযোগ গ্রহণ করে পুলিশ।
বিশ্বনাথ বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা নেই। তবে যারা গুলি চালিয়েছে, তারা এলাকার সমাজবিরোধী। ওরা টাকা চেয়েছিল। আমি দিতে অস্বীকার করি। তাই এই আক্রমণ। আমার এবং ভাইয়ের কাছ থেকে ওরা প্রায় ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।’’ শেষ পর্যন্ত এই মামলায় অভিযুক্তদের দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অন্য দিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে শাসকদল প্রকাশ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। দোষ করলে আইন আইনের পথে চলবে। সেখানে সবাই সমান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy