গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
ছাত্রনেত্রীকে কুপ্রস্তাব এবং তাঁর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল ওই কলেজেরই প্রাক্তন ছাত্রনেতা তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তিন নেতার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশের কাছে। তোলপাড় শুরু হয়েছে় নদিয়ার কলেজে। ‘নির্যাতিতা’ ছাত্রীর অভিযোগ, তাঁকে বেশ কয়েক বার আপত্তিকর এবং ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তা বলেছেন তাঁর দলেরই তিন নেতা। পরে তাঁকে শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করেছেন তাঁরা। প্রথমে এ নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা কোনও পদক্ষেপ না করায় তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। অন্য দিকে, এই অভিযোগের পিছনে ‘পরিকল্পিত চক্রান্ত’ দেখছেন অভিযুক্তরা। ইতিমধ্যে অভিযোগ খতিয়ে দেখা শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, পূর্ব বর্ধমান জেলার বাসিন্দা ওই ছাত্রনেত্রী অভিযোগ করেছেন তাঁর কলেজেরই প্রাক্তন নেতা তথা বর্তমানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক সহ-সভাপতি এবং আরও দুই নেতার বিরুদ্ধে। পুলিশকে ‘নির্যাতিতা’ জানিয়েছেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ওই নেতা তাঁকে বার বার কুপ্রস্তাব দিতেন। এমনকি, তাতে আপত্তি করায় হুমকি পেয়েছেন। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। এক দিন তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয়ে তাঁকে কাজের সূত্রে ডেকে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়। সেখানে তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে তিনি এ-ও অভিযোগ করেন যে, ওই ঘটনার কথা কাউকে বললে তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়। তাঁর পেশায় ব্যবসায়ী বাবার রুজিরোজগার বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও শাসানি দেওয়া হয়েছে। ‘নির্যাতিতা’ জানিয়েছেন তিনি বিষয়টি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন। অভিযোগ করেছিলেন কয়েক জন নেতার কাছে। কিন্তু তাতে কিছুই হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। ওই ছাত্রনেত্রীর কথায়, ‘‘তৃণমূলের ছাত্র নেতাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমার কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘নেতৃত্বকে জানিয়েও কোন ফল মেলেনি। তাই পুলিশের কাছে গিয়েছি।’’
অন্য দিকে অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘‘এটা পরিকল্পনামাফিক ষড়যন্ত্র।’’ কিন্তু সেই ষড়যন্ত্রের কারণ কী, কেনই বা এই অভিযোগ, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেলনি। তিনি জানান, এ ব্যাপারে তাঁরা আইনি সাহায্য নিচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy