হুমায়ূন কবীর। —ফাইল চিত্র।
মুর্শিদাবাদে কোষ্ঠী কোন্দল সামাল দিতে এ বার এগিয়ে এলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীকে হুমকি দেওয়ায় ভরতপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ূন কবীরকে শো-কজ ধরানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা। হুমায়ুন যে ভাবে হুমকি দিয়েছেন, যে শব্দ উচ্চারণ করেছেন, তা দল একেবারেই সমর্থন করেন না বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
রবিউল বনাম হুমায়ূন তরজায় মুর্শিদাবাদে তৃণমূলে বিভাজন স্পষ্ট। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে পার্থ বলেন, ‘‘প্রকাশ্য জনসভায় হুমায়ূন কবীর যে ভাবে রবিউল আলম চৌধুরীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন, যে শব্দ উচ্চারণ করেছেন, তাতে অনুমোদন দেয় না দল। পরিষদীয় মন্ত্রী তথা দলের মহাসচিব হিসেবে আমি তাঁকে ফোনে ধরার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পাইনি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দলের দরফে এই আচরণের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হবে ওঁকে। হোয়াটসঅ্যাপেও নোটিস পাঠিয়ে দেওয়া হবে ওঁকে।’’
মুর্শিদাবাদে হুমায়ূন বনাম রবিউল তরজা চলে আসছে বেশ কিছু দিন ধরেই। তবে এত দিন দলের অন্দরেই তা সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার শক্তিপুরের জনসভা থেকে প্রকাশ্যে রবিউলকে হুমকি দিতে দেখা যায় হুমায়ূন কে। তিনি বলেন, ‘‘খুব সাবধান রবিউল চৌধুরী। আমার সঙ্গে পাঙ্গা নিতে এসো না। হাড়গোড় এক করে দেব।’’ প্রকাশ্য সভা থেকে হুমায়ূনের সেই বক্তৃতা ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। তাতেই নড়েচড়ে বসেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
রবিউল নিজে যদিও এ নিয়ে কোনও তির্যক মন্তব্য করেননি। হুমায়ূনের মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আমি বিধায়ক। আমার হাত-পা ভেঙে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমি এই বক্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাই না। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা নির্দেশ দেবেন, সে ভাবেই সব কিছু চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy