—প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন নিয়ে কারও খুব একটা উৎসাহ দেখা যায়নি। এর নেপথ্যে শাসকদলের অন্তর্দ্বন্দ্বের আভাস পাওয়া গিয়েছিল। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির আসন নিয়ে মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের বিধায়ক-পুত্র জামিল আলম চৌধুরী এবং বেলডাঙা-১ দক্ষিণের সভাপতি আবু সৈয়দের এই দ্বন্দ্বেই বেলডাঙা-১ পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হল তৃণমূলের। যৌথ ভাবে বোর্ড গড়ল কংগ্রেস এবং সিপিএম।
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা-১ ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতির ৩৯টি আসনের মধ্যে ২২টি আসন ছিল তৃণমূলের। কংগ্রেসের ১১ জন সদস্য, সিপিএমের চার জন এবং বিজেপির দুই সদস্য ছিলেন। বেলডাঙা-১ ব্লকে ৩৯টি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের নিয়ে ভোটাভুটি শুরু হয়। কিন্তু তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়। অন্য দিকে, সভাপতি পদের জন্য প্রার্থী দিয়েছিল বাম এবং কংগ্রেসও। প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীর ছেলে জামিল আলম চৌধুরী, বেলডাঙা দক্ষিণ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আবু সঈদ এবং কংগ্রেসের আজাদ মণ্ডল। ত্রিমুখী ওই ভোটাভুটিতে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন কংগ্রেসের আজাদ মণ্ডল। সহকারী সভাপতি হন সিপিএমের সামিনারা বিবি।
নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আজাদের কথায়, ‘‘আমাদের ১৫ জন সদস্য থাকা সত্ত্বেও আমি ২৪ জন সদস্যের ভোট পেয়েছি। তৃণমূলের টিকিটে জয়ী সদস্যেরাও আমাকে ভোট দিয়েছেন।’’ অন্য দিকে, বোর্ড হাতছাড়া হওয়ার পরে পরস্পরকে দোষারোপ করছে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। তৃণমূলের আলমের কথায়, ‘‘বেলডাঙার বিধায়ক হাসানুজ্জামান এবং ব্লক সভাপতি আবু সঈদের জন্যই হাতছাড়া হয়েছে বোর্ড।’’ পাল্টা বেলডাঙা-১ দক্ষিণের তৃণমূল ব্লক সভাপতি দোষ চাপিয়েছেন বিধায়ক পুত্রের উপর। আবুর দাবি, ‘‘দল জেলা থেকে সভাপতি হিসাবে আমার নামই পাঠিয়েছিল। সিপিএম এবং কংগ্রেসের হাতে বোর্ড তুলে দিয়েছেন জামিল আলম চৌধুরী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy