দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট। ফাইল চিত্র।
শিক্ষক নিয়োগ থেকে গরু পাচার, কয়লা পাচার ইস্যুতে কোণঠাসা শাসক দল। অন্যদিকে দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে ঘর গোছাতে দলের মহিলা নেত্রীদের বাড়ির অন্দরে পাঠাচ্ছে তৃণমূল। আগামী ১ নভেম্বর থেকে দলের মহিলা সংগঠনের বুথ কমিটির সদস্যরা বাড়ি বাড়ি যাবেন। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে— ‘চলো গ্রামে যাই’। দলের মহিলা নেত্রীরা বাড়ির হেঁশেলে পৌঁছে গিয়ে সেই বাড়ির সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ খবর নেবেন। সরকারি সুযোগ সুবিধা না পেলে তাঁদের ‘দুয়ারে সরকার’-এর শিবিরে গিয়ে সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করার পরামর্শ দেবেন।
এ ভাবে এক দিকে সরকারি সুবিধা পেতে যেমন সাহায্য হবে, তেমনই তৃণমূলের জনসংযোগও হবে। যা আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজ দেবে বলে অনেকেই মনে করছেন। অন্য দিকে আগামী ২০ নভেম্বর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে বহরমপুর ও জঙ্গিপুরে ‘পঞ্চায়েতি সভা’ করতে আসছেন মহিলা তৃণমূলের রাজ্যের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য
যা শুনে কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা। তাঁরা বলছেন, মানুষ ওদের চুরি, ডাকাতির কথা জেনে গিয়েছেন। তাই এ ভাবে ভাবমূর্তি ফেরানোর চেষ্টা করে লাভ হবে না। সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলছেন, ‘‘তৃণমূল চোরের দল। ওদের পুরুষ নেতাদের মুখ দেখানোর জায়গা নেই। তাই মহিলাদের সামনে এনে ভাবমূর্তি ফেরানোর চেষ্টা করছে। তবে তাতে লাভ হবে না। মানুষ ওদের কথা জেনে গিয়েছে।’’ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাসের কটাক্ষ, ‘‘বিয়ে হলে যেমন সানাই বাজে, তেমনই ভোট এলে ওদের দুয়ারে যাওয়া লাগে। এ সব দিয়ে এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে চিড়ে ভিজবে না।’’
যদিও দলের মহিলা সংগঠনের জেলা সভানেত্রী শাহনাজ বেগম বলছেন, ‘‘আমরা ভোটের রাজনীতি করি না। সারা বছরই মানুষের পাশে থাকি। নভেম্বর থেকে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু হবে। লোকজন সুযোগ সুবিধা না পেলে সরকারি সেই কর্মসূচিতে আবেদন জানাতে পরামর্শ দেওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। এতে জনগণের যেমন সুবিধা হবে, তেমনই আমাদের জনসংযোগও বাড়বে।’’
সূত্রের খবর, অক্টোবরের ১৯ তারিখে রাজ্য মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কলকাতায় বৈঠক করেছেন। সেখানেই মহিলা তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্যদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁরা বাড়ি বাড়ি যাবেন। ২৫ নভেম্বর এ বিষয়ে রাজ্যে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দু’দিন আগেই বহরমপুরে জেলা তৃণমূল ভবনে মহিলা তৃণমূলের জেলা কমিটির বৈঠকে রাজ্যের নির্দেশিকার বিষয়টি জানানো হয়েছে।
জেলা মহিলা তৃণমূলের এক নেত্রী জানান, অধিকাংশ জায়গায় মহিলা তৃণমূলের বুথ কমিটি রয়েছে। যে সব জায়গায় বুথ কমিটি নেই, সেখানে ১ নভেম্বেরের আগে বুথ কমিটি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুথ পিছু ১১-২১ জন সদস্য নিয়ে কমিটি রয়েছে। এছাড়া বুথ পিছু ২৫০-৩০০ টি পরিবার রয়েছে। ফলে বুথ কমিটির সদস্য পিছু ২০-৩০ টি বাড়ি যেতে হবে। মহিলা সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার পাশাপাশি কবে কার বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছেন, তাঁদের ফোন নম্বর এবং কোনও সমস্যা থাকলে তা দিয়ে রিপোর্ট তৈরি করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy