Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Newborn Baby

New born exchange: শেষ মুহূর্তে আটকানো গেল শিশুর হাতবদল

রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের সুপার প্রহ্লাদ অধিকারী বলেন, ‘‘ওই মহিলা প্রথমে বলেছিলেন, শিশুটিকে নেবেন না।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানাঘাট শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২২ ০৯:২৯
Share: Save:

নিজের সদ্যোজাত পুত্র সন্তানকে এক নিঃসন্তান দম্পতির হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রানাঘাটের কায়েতপাড়ার বাসিন্দা এক মহিলা। কিন্তু তার আগেই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত সফল হলেন না।

সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল চত্বরেই। ঠিক সময় ফোনে অভিযোগ পেয়ে চাইল্ডলাইনের লোকজন চলে আসায় শিশুটিকে নিতে আসা এক দম্পতি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। শিশুটির মা ভুল স্বীকার করে সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে চাইলে তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, তিন দিন আগে ওই মহিলার প্রসব হয় রানাঘাট হাসপাতালে। সোমবার তিনি ছাড়া পান। শান্তিপুরের এক দম্পতি শিশুটিকে নিতে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু পরে তাঁদের আর খোঁজ মেলেনি। টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে বিক্রি করা হচ্ছিল কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, মাত্র এক দিন আগেই এক মহিলার কাছ থেকে সদ্যোজাত পুত্রসন্তানকে নিয়ে নিজের কাছে প্রায় এক মাস রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রানাঘাট ১ নম্বর ব্লকের আনুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান রুমা খাতুনের বিরুদ্ধে। এক জন উপপ্রধান কী ভাবে শিশু দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বেআইনি পথ নিলেন তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। সোমবার রানাঘাটের মহকুমাশাসক হারিস রশিদ বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’ পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রের খবর, গত ২৫ জুলাই গাংনাপুর থানা এলাকার এক বিধবা মহিলা রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে প্রসবের জন্য ভর্তি হন। সেই দিনই তাঁর পুত্র সন্তান হয়। কিন্তু প্রথমে তিনি শিশুটিকে নিতে চাননি। পরে তিনি মত পরিবর্তন করেন। জানা গিয়েছে, গত ২৮ জুলাই তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই তাঁর সন্তান উপপ্রধান রুমা খাতুনের কাছে থেকেছে। অভিযোগ উঠেছে, আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে শিশুটির হাতবদল হয়েছে। খবর জানাজানির পর শিশুটিকে উপপ্রধানের থেকে নিয়ে হোমে রেখেছে চাইল্ডলাইন।

রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের সুপার প্রহ্লাদ অধিকারী বলেন, ‘‘ওই মহিলা প্রথমে বলেছিলেন, শিশুটিকে নেবেন না। পরে নিতে চান। এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার থাকে না। নিয়ম মেনে মায়ের হাতে শিশুকে তুলে দেওয়া হয়েছিল। তার পর কী হয়েছে তা বলতে পারব না।’’

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, উপপ্রধানের কোনও সন্তান নেই। তাই তিনি শিশুটিকে লালন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা বৈধ পথে করেননি। রুমা খাতুন এ দিন বলেন, ‘‘সব মিটে গিয়েছে। আর কিছু বলার নেই।’’ তবে রানাঘাট মহকুমাশাসকের কাছে বেআইনি ভাবে শিশুর হাতবদলের ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে বাম শরিক আরএসপি-রশ্রমিক সংগঠন ইউটিইউসি।

অন্য বিষয়গুলি:

Newborn Baby Childline Ranaghat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE