বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে খুন হলেন এক ব্যক্তি। নিহত ওই প্রৌঢ়ের নাম নিমাই প্রামাণিক (৫৬)। বাড়ি শান্তিপুরের ফুলিয়া-কদমপুর এলাকায়। শনিবার রাতে তাঁকে ফুলিয়ায় ব্লক অফিসের পিছনের মাঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। জেলার পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, “পুরনো শত্রুতার জেরেই খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।”
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০০ সালে খুন হয়েছিলেন নিমাইবাবুর আত্মীয় সুবল প্রামাণিক। তাঁকেও কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় নিমাই প্রামাণিক-সহ তাঁদের আট ভাইকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সতেরো বছর আগের সেই ঘটনায় নিমাইবাবুদের বাড়িতে আগুন লাগিয়েও দেওয়া হয়েছিল। বিচারে আট জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। জমিতে আল দেওয়া নিয়ে গণ্ডগোলের জেরেই সুবলবাবু খুন হয়েছিলেন বলে পুলিশে জানিয়েছে।
প্রায় ১০ বছর জেল খাটার পরে ২০১৫ সালে দুর্গাপুজোর সময় আট জন মুক্তিপান। তারপর সব কিছু স্বাভাবিক ছিল। শনিবার রাতে খুন হন নিমাইবাবু। ওই রাতেই নিমাইবাবুর পরিবার শান্তিপুর থানায় ২০০০ সালে নিহত সুবল প্রামাণিকের ছেলে, ভাই ও আত্মীয়-সহ মোট আট জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেন।
রাতেই পুলিশ দেবব্রত প্রামাণিক, ভোলা বিশ্বাস ও উত্তম বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে। নিমাইবাবুর ছেলে বিমল প্রামাণিকের অভিযোগ, ‘‘সন্ধ্যের সময় বাবাকে কেউ ফোন করে। তারপর বাবা বাড়ি থেকে বাজারের দিকে যায়। বাবা-কাকাদের একবার মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছিল ওরা। তাতেও শান্তি হয়নি। এ বার বাবাকে মেরেই ফেলল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy