— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্কুলে চাকরি বাতিলের বিষয়টি নিয়ে ক্রমশ সরগরম হয়ে উঠছে ভোটের ময়দান। সব রাজনৈতিক দলই এই নিয়ে ভোটের বাজারে ফায়দা লোটার চেষ্টায় মরিয়া। আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে পরস্পরকে বিদ্ধ করতে ছাড়ছে না কোনও পক্ষই। সেই সঙ্গে, ভোটারেরা এ বিষয়ে কী ভাবছেন, তা-ও বোঝার চেষ্টা করছেন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
দীর্ঘ দিন ধরেই স্কুলে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সিপিএম ও বিজেপি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এসেছে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য-সহ শিক্ষা দফতরের তাবড় মাথারা গ্রেফতার হওয়ার পরেই বোঝা গিয়েছিল, ভোটের ময়দানে তৃণমূলকে এই প্রশ্নের মোকাবিলা করতে হবে। এর মধ্যে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গোটা প্যানেল বাতিল করে দেওয়ায় বিরোধীদের হাতে আরও বড় অস্ত্র চলে এসেছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
সিপিএমের নদিয়া জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুমিত বিশ্বাসের দাবি, “আমরা তো প্রথম থেকেই এই দুর্নীতির কথা বলে আসছি। আদালতের এই রায়ে সেটাই প্রমাণিত হল। তৃণমূলের কারণেই যোগ্যেরা বঞ্চিত হল। এর দায় তৃণমূলকেই নিতে হবে।” তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমানের পাল্টা দাবি, “সরকার বার বার চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করছে আর সিপিএম মামলা করে সেটা আটকে দিচ্ছে। ওরাই মামলা করে এতগুলো পরিবারকে অন্ধকারে ঠেলে দিল।” এই যুক্তিকেই এখন বামেদের বিরুদ্ধে প্রধান হাতিয়ার হিসাবে তুলে ধরতে চাইছে তৃণমূল। যদিও সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, অবৈধ ভাবে নিয়োগ হলে তো মামলা হবেই। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হলে তো মামলা করার জায়গাই থাকত না।
বিজেপিও বাড়ি-বাড়ি প্রচারে এবং ছোট-বড় পথসভায় এই বিষয়টি তুলে তৃণমূলের প্রতি আক্রমণ শানাচ্ছে। দলের নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের মতে, “এই রায়ে কিছু পরিবার হয়তো ক্ষতিগ্রস্ত হল, কিন্তু তৃণমূল সরকারের লাগামহীন দুর্নীতিতে কিছুটা রাশ টানাও সম্ভব হল। তৃণমূলের দুর্নীতির পাহাড় সকলের সামনে এল। মানুষ এর জবাব দেবে।” রুকবানুরের পাল্টা জবাব, “২৫ হাজার চাকরি খেয়ে ওরা এখন বড় বড় কথা বলছে! মানুষ জানতে চাইছে, শুভেন্দু অধিকারী এই রায়ের কথা আগে থেকে জানল কী ভাবে? নাকি এই রায়ের পিছনে আরও কোনও বৃহত্তর গল্প আছে?”
রুকবানুরের দাবি, “এই গল্প মানুষ ধরে ফেলেছে। মানুষ বুঝছে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগ দেওয়া আর শুভেন্দু অধিকারীর বোমা ফাটানোর সঙ্গে এই রায়ের যোগসূত্র আছে।” তৃণমূলের এই বক্তব্যের সামনে বিজেপি কার্যত কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ছে, পাশ কাটানোরও চেষ্টা করছে। পার্থসারথী পাল্টা বলছেন, “শুভেন্দু অধিকারী যে বোমা ফাটানো মানে এই রায়ের কথাই বলেছেন, এটা তৃণমূল জানল কী ভাবে? অপেক্ষা করুন, কোন বোমার কথা বলা হয়েছে সেটা ক্রমশ সামনে আসবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy