নিত্য ভোগান্তি
আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত আমার শহর প্রতিবেদনে ডোমকল শহরের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। এই এলাকার অনেক অজানা তথ্যও পেয়েছি ওই প্রতিবেদনে। একজন শিক্ষক ও মানবাধিকার কর্মী হিসেবে ডোমকলের আরও কিছু বিষয়ে বলার দরকার বলে আমার মনে হয়েছে। বিগত কয়েক মাসে বেশ কিছু রোগীকে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে।
এক শ্রেণির অসাধু চিকিৎসক ও দালাল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় হাসপাতাল। ভাল চিকিৎসা পরিষেবা দূরের কথা, রোগীদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা চলে। সামান্য কোনও পরীক্ষা কিংবা ওষুধের প্রয়োজন হলেই দালাল পৌঁছে যাচ্ছে রোগীর শয্যায়। আর রেফার শব্দটা শোনার জন্য হাসপাতালের ভিতরে সারি দিয়ে দাড়িয়ে থাকে মারুতি ভ্যান। এখানেই শেষ নয়, ভাল ‘ওটি’ থাকলেও এই হাসপাতালে দিনে হাতে গোনা কয়েকটি অস্ত্রোপচার হয়। এক্সরে বা ইউএসজি-র ব্যবস্থা থাকলেও তা সাধারণ রোগীদের নাগালের বাইরে। ব্লাড ব্যাঙ্কের জন্য ঝাঁ-চকচকে ঘর থালেও সেখানে রক্ত নেই। গরমের দিনে ওই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরটি চিকিৎসকদের দখলে চলে যায়। আমরা চাই, আমাদের প্রিয় শহরের হাসপাতাল দালাল মুক্ত হোক। কারণ এদের সৌজন্যে নিয়মিত হয়রান হচ্ছেন মহকুমার চারটি ব্লকের মানুষ। বিষয়টির দিকে প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটু নজর দিলেই সমাধান সম্ভব। পাশাপাশি এই হাসপাতালে রোগী এবং রোগীর আত্মীয়দের জন্য কোনও পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। ফলে বিপদে পড়ে চড়া দামে জল কিনতে হয় তাঁদের। আমার শহরের একমাত্র সরকারি হাসপাতালটি আরও সুন্দর হোক। আমার বিনীত অনুরোধ, চিকিৎসকেরা বাইরের চেম্বারের পাশাপাশি হাসপাতালের রোগীদেরও একটু নজর দিন। তাহলে এই মহকুমার মানুষ সত্যি সত্যিই খুব উপকৃত হবেন।
আলমগীর হোসেন, বিলাসপুর, ডোমকল
বেহাল পার্ক
আনন্দবাজার পত্রিকায় ‘আমার শহর’ প্রতিবেদনে আমার শহর ডোমকলকে নতুন করে খুঁজে পেলাম। শহরের পাওয়া না পাওয়ার অনেক কথা জানতে পারলাম। শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শেয়ালমারী নদীকেও চিনলাম নতুন করে। কিন্তু শহরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রতিবেদকের নজর এড়িয়ে গিয়েছে। সেগুলি নিয়েই এই চিঠি। শহরের মহকুমা হাসপাতালের দুরাবস্থা, দালালরাজের কথা প্রতিবেদনে ঠাঁই পায়নি। সন্ধ্যার পরে এই শহরের একমাত্র শিশুদের পার্কটি মদ্যপদের দখলে চলে যায়। শহরের নালাগুলি ব্যবসায়ীরা নোংরা ফেলে বন্ধ করে দিয়েছেন। মহকুমার প্রশাসনিক ভবনকে ঘিরে নিয়েছে অবৈধ নির্মাণ। বছর কয়েক আগে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে তৈরী হয়েছিল আব্দুল বারী পার্ক। প্রথমে আলো এবং নানা খেলার সামগ্রীও ছিল সেখানে। প্রশাসনের উদাসীনতায় নষ্ট হয়েছে ওই পার্ক। অথচ এটাই ছিল ডোমকলের একমাত্র পার্ক। এই শহরে শিশুদের কোনও খেলার জায়গা ছিল না। এই পার্কটি হওয়ায় আমরা এটা ভেবে খুশি হয়েছিলাম যে, শিশুদের জন্য অন্তত একটা ব্যবস্থা হল। কিন্তু বছর দুয়েক না যেতেই পার্কের চারদিকে দখল নিল হকারেরা। পরে স্থায়ী ভাবে সেখানে নির্মাণও গড়ে উঠেছে। ভিতরে সাজানো গাছ, আলো এবং শিশুদের খেলার সামগ্রী সবই এখন উধাও। প্রশাসন এই বিষয়টির দিকে মোটেই নজর দেয়নি। আমরা চাই আমাদের শহরের ওই পার্কটি ফের শিশুদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক। ওরা রোজ হইহই করে সেখানে খেলুক।
আনারুল ইসলাম, ডোমকল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy