মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
কাজে যোগ দিলেন মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য অচিন্ত্য সাহা। বুধবার সকালে তিনি বহরমপুরে এসে কাজে যোগ দিয়েছেন। তার পরে তাঁর যোগদানের রিপোর্ট রাজভবনে এবং উচ্চশিক্ষা দফতরে পাঠানো হয়েছে বলে মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। দীর্ঘ প্রায় তিন মাস ধরে মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ শূন্য রয়েছে।
বুধবার কাজে যোগ দেওয়ার পরে উপাচার্যের সঙ্গে ছাত্র থেকে শুরু করে অধ্যাপকেরা একে একে এসে দেখা করেছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। কাজে যোগ দেওয়ার পরে উপাচার্য মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ামক ও রেজিস্ট্রার নিয়োগ করেছেন। পরীক্ষা নিয়ামক হয়েছেন বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেজিস্ট্রার করা হয়েছে মিজানুল হককে।
এদিন রাতে অচিন্ত্যবাবু বলেন, ‘‘এ দিনই পরীক্ষা নিয়ামক, রেজিস্ট্রার নিয়োগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত বছরের ফল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছি। আশা করছি বৃহস্পতিবারই সেই ফল প্রকাশ করা যাবে। এ ছাড়া আশা করছি শুক্রবার থেকে স্নাতকোত্তরের ভর্তির জন্য ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিতে পারব।’’ তাঁর দাবি, ‘‘এখানে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। আমি সকলকে নিয়ে সেই কাজ করতে চাই।’’
মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ জুন থেকে মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ শূন্য ছিল। গত ৩১ অগস্ট থেকে রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ামকের পদ শূন্য। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধু ফিনান্স অফিসার এবং ১৬ জন অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে স্নাতকোত্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করার পাশাপাশি ৩ অক্টোবর থেকে স্নাতকোত্তরে ক্লাস শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চশিক্ষা দফতর। কিন্তু এতদিন উপাচার্য না থাকায় আজও মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি। অন্যদিকে অনেক আগেই স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত বছরের পরীক্ষা হয়ে গেলেও এখনও ফল প্রকাশ করতে পারেনি। সেই সঙ্গে স্নাতকস্তরের সাঁওতালি মাধ্যমের চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষাও নিতে পারেনি।
সাঁওতালি মাধ্যমের পঠনপাঠন, পরীক্ষা সব কিছু বাইরের অধ্যাপকদের দিয়ে করানো হয়। কিন্তু তিন মাস থেকে উপাচার্য না থাকায় বাইরের অধ্যাপকদের সাম্মানিক, যাতয়াত খরচ দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরির জন্য সাঁওতালি মাধ্যমের অধ্যাপকদের বাইরে থেকে ডাকা যায়নি। তাই তাঁদের পরীক্ষাও নেওয়া যায়নি।
অন্যদিকে তিন মাস ধরে বেতন পাননি মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মীরা। সেই সঙ্গে প্রায় ৯০ জন অতিথি অধ্যাপকের সাম্মানিক ভাতা যেমন দিতে পারেনি তেমনই বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈননন্দিনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার ঠিকাদাররাও তিনমাস ধরে বকেয়া টাকা পাননি। অন্তর্বর্তী উপাচার্য কাজে যোগ দিয়েই প্রথম দিন থেকেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy