তাপস সাহা। — ফাইল চিত্র।
শুরুটা হয়েছিল তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম বিশ্বাস খুনের ঘটনার পর থেকে। প্রকাশ্যে চলে এসেছিল জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিক সাহা এবং তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরোধ।
টিনা সরাসরি অভিযোগ এনেছিলেন, তাপসের ইন্ধনেই তাঁর নাম অভিযুক্তদের তালিকায় রেখেছেন নিহত মতিরুলের স্ত্রী। দাবি করেছেন, ‘‘প্রশাসন তাপস সাহার গাড়ি তল্লাশি করলে অস্ত্র উদ্ধার হতে পারে!’’ যার উত্তরে তাপস ‘‘আমার গাড়ি পরীক্ষা করা হোক’’—বলেছেন এবং টিনার বিরুদ্ধে টেট পাশ না-করে প্রাথমিকে চাকরি পাওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন। জবাবে টিনা আবার জানিয়েছেন, আগে খুনের ঘটনার তদন্ত করা হোক।টিনার বিরুদ্ধে তাপসের এই অভিযোগ অবশ্য লিখিত নয়, মৌখিক। তবুও দলের এক জন বিধায়ক দলেরই জেলা পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির পথে প্রাথমিকে চাকরি পাওয়ার গুরুতর অভিযোগ তুলছেন, তা-ও আবার টেট-দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য তোলপাড় হওয়ার মোক্ষম সময়ে! আবার সেই নেত্রী পাল্টা অভিযোগ এনে বিধায়কের গাড়িতে অস্ত্র থাকতে পারে বলে দাবি করছেন। স্বভাবতই জেলা তৃণমূল সব মিলিয়ে যথেষ্ট চাপে পড়েছে। তার উপর সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে এমন অস্ত্র বিরোধীদের হাতে এলে তারা স্বাভাবিকভাবেই তাতে শান দেবে বলে আশঙ্কা তৃণমূলের অন্দরে। দলের অনেকেই বলছেন, নদিয়ায়, বিশেষ করে করিমপুর অঞ্চলে অন্তর্দ্বন্দ্ব যে রয়েছে, সেটা এ দিন আর এক বার সামনে চলে এল।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জেলায় সাংসদ মহুয়া মৈত্র শিবিরের সঙ্গে বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায় শিবিরের যে ঠান্ডা লড়াই আছে, সেটা আগেও সামনে এসেছে। টিনাও মহুয়া গোষ্ঠীর লোক হিসাবে পরিচিত। তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা সরাসরি কোনও গোষ্ঠীর বলে পরিচিত না হলেও জেলার রাজনীতিতে তিনি টিনার বিপরীত মেরুতে রয়েছেন, বলছেন তৃণমূলের লোকজনই।
তাপস সাহা এ দিন অভিযোগ করেন, ‘‘টিনাদেবীর জন্মতারিখ বেতাই কলেজে দু’রকম রয়েছে। তিনি ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না-হয়েও প্রাথমিকে চাকরি করছেন। প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে তদন্ত চলছে। জানি না এ ক্ষেত্রে কী উঠে আসে।’’এর জবাবে টিনা বলেছেন, ‘‘উনি উন্মাদ হয়ে গিয়েছেন। ওঁর সব কথার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। মিথ্যা ভাবে বিধায়ক তাপস কুমার সাহা রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য আমার সঙ্গে রাজনীতিতে এঁটে উঠতে না-পেরে আমাকে হেয় করার জন্য এই ভাবে মিথ্যা অভিযোগ আনছেন।’’টিনার আরও মন্তব্য, ‘‘আমার জন্ম তারিখ ১৫-১২-১৯৯১। সমস্ত নথিপত্রে আমার এই একই জন্মতারিখ রয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘আগে খুনের ঘটনার তদন্ত হোক। সেই তদন্ত অন্য দিকে ঘোরানোর জন্য এখন তিনি আমার জন্ম তারিখ নিয়ে অভিযোগ করছেন। ঠিক সময়ে আমি আমার জন্ম সার্টিফিকেট প্রকাশ্যে নিয়ে আসব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy