গ্রামীণ সংস্কার আর মাতব্বরদের অনুশাসনে ইতি টানতে চোঁয়া গ্রামের যজমান সুভাষ রায়চৌধুরীর পাশে দাঁড়াল জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার ওই পরিবারটিকে নিজের দফতরে ডেকে পাঠিয়ে তাঁদের খুঁটিনাটি অসুবিধার কথা শোনেন হরিহরপাড়া ব্লকের বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যাল। আশ্বাস দেন সব রকম সাহায্যের। স্থানীয় পঞ্চায়েত উন্নয়ন আধিকারিক ইয়াদুল শেখ জানান, ওই পরিবারের হাতে এ দিনই ২৪ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে প্রয়োজনীয় বাসন, কাপড়, বিছানার চাদরও তুলে দেওয়া হয়েছে সুভাষবাবুর হাতে। পূর্ণেন্দুবাবু জানিয়েছেন, এ সাহায্য এককালীন নয়। নিয়মিতই দেওয়া দেবে স্থানীয় ব্লক প্রশাসন।
মাস সাতেক আগে, আশ্রয়হীন এক মুসলিম তরুণীকে নিজের বাড়িতে ঠাঁই দেওয়ায় বেঁকে বসে চোঁয়া গ্রামের বাসিন্দাদের অকাংশ। তাঁদের মদত জোগাতে থাকেন গ্রামের কিছু মাতব্বর। ফলে গ্রামের এ বাড়ি ও বাড়ি পুজো করে বেড়ানো সুভাষবাবুর আয়ের পথে দাঁড়ি পড়ে যায়। কিন্তু গ্রামীণ সংস্কারের চাপে মাথা নোয়াননি তিনি। নিজের মুক্ত-মনের ধর্মকেই বরং প্রশ্রয় দিয়ে জানিয়ে দেন, ‘‘মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আসল ধর্ম। এখানে থেকে সরতে পারব না।’’ তাউ গ্রামে, রুজির পথ বন্ধ হলেও ধোপা-নাপিতের উপরে ফতোয়া জারি হলেও, ওই তরুণীকে ঘরেই রেখেছেন তিনি।
মাসের মাস ধরে সংস্কারের শাসন চললেও প্রসাসনের কাছে তার কোনও খবর ছিল না। মঙ্গলবার সংবাদপত্রে এই খবর প্রকাশের পর বহরমপুর ব্লক প্রশাসনের পাশাপাশি ইউসিটিসি (সরকারি বিএড কলেজ) কলেজের পক্ষ থেকে সরাসরি সুভাষবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কলেজের এক অধ্য়াপক ওই পরিবারের হাতে নগদ পাঁচ হাজার টাকা তুলে দেন।
সাহায্য পেয়ে খুশি সুভাষবাবুর পরিবার। তাঁর স্ত্রী ইলা রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘সংসারে দারিদ্র আছে। তবে শান্তিও আছে। সরকারি সাহায্য পেয়ে কিছুটা আস্বস্ত লাগছে।’’ সখিনাও, বলছেন, ‘‘প্রশাসন আমাদের পাশে দাঁড়ানোয় ভাল লাগছে।
স্বস্তিও পাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy